Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর প্রাথমিক ফল  

গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হার কমেছে  

বুধবার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত চতুর্থ ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফল’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত চতুর্থ ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফল’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
[publishpress_authors_box]

গত এক দশকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে হারে কর্মের সুযোগ বাড়ার কথা ছিল তা যে হয়নি, আর মানুষও অনুৎসাহী হয়ে উঠেছে; সেটি উঠে এসেছে সরকারের শুমারিতে।

সেখানে বলা হয়েছে, গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎপাদনমুখী শিল্পের অবদান তার আগের দশ বছরের চেয়ে কমেছে। এ সময়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার হার ২০১৩ সালে পাওয়া তথ্যের তুলনায় কমে গেছে।  

বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত চতুর্থ ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফল’ প্রকাশ করা হয়; সেই প্রতিবেদনেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত এই শুমারি গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে।

প্রতি দশ বছর পর পর অর্থনৈতিক শুমারি করে সরকার। দেশের প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি হয় ১৯৮৬ সালে। এরপর দ্বিতীয় ২০০১ ও পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালেও এই শুমারি হয়। তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি হয় ২০১৩ সালে।

দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি হয় ২০২৪ সালের ১০-২৬ ডিসেম্বর। সর্বশেষ এই শুমারি চলার সময়ে দেশে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার অর্থনৈতিক ইউনিটের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭ লাখ মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত ছিল।  

এরমধ্যে ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ গ্রামীণ এলাকার মানুষ ছিল। অথচ ২০১৩ সালে পরিচালিত তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য অনুযায়ী ওই সময়ে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা মানুষের মধ্যে ৬১ দশমিক ১৩ শতাংশ গ্রামীণ এলাকার ছিল।

চতুর্থ শুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ি থাকা মানুষের মধ্যে শহর এলাকার মানুষ ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১৩ সালে এই হার ছিল ৩৯ শতাংশ।

অর্থাৎ দশ বছরের ব্যবধানে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার সুযোগে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ পিছিয়ে পড়েছে। মূলত মূলধনের অভাবে গ্রামের মানুষ পিছিয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

এই বৈষম্যের প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রায় ৮৬ শতাংশ জানিয়েছে তাদের ব্যবসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মূলধন।

এ সময় উপদেষ্টা গত সরকারের আমলে গড়ে উঠা কিছু ভূঁইফোড় কোম্পানি গড়ে উঠে ব্যাংক ও সরকারি টাকা লুটপাটের কারণে এই বৈষম্য হয়েছে বলে দাবি করেন।

ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, “আমরা যে অর্থনীতি পেলাম- এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেছে। কতগুলা ব্যাংকের সম্পূর্ণ; এটা হিসাবও করা যায় না।

“বড় বড় যে নাম করা শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এরা আসলে নাম করা নয়, এরা হলো রাতারাতি বড় হওয়া ধনী হওয়া যে শিল্পগোষ্ঠী। এদের হিসাবপত্র এখন অচল হয়ে আছে।”

“তাদের শ্রমিকরাই এখন আন্দোলন করছে। তাদের আর্থিক হিসাব থেকে দেখা গেল যে কিছুই নাই। মূলধন ব্যাংক প্রপার্টি নাই। শুধু লোন আর লোন। বেক্সিমকোর কথাই আমি বিশেষ করে বলছি। কারণ তারা এখনও মাঠে আছে। এবং তিন চার মাস ধরে সরকার অর্থায়ন করছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত