বিচার বিভাগে সব ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) নির্বাচিত কমিটি ও সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান। এলআরএফ’র পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
এলআরএফর সভাপতি আশরাফ উল আলমের নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি হাসান জাবেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিুবল ইসলাম হাবিব, প্রশক্ষিণ ও কল্যাণ সম্পাদক জাবেদ আখতার এবং কার্যনির্বাহী সদস্য শামীমা আক্তার, মুহাম্মদ ইয়াছিন ও সাকিল আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতি মো. রেফাত আহমেদ বলেন, “আমরা তো আন ইলেকটেড বডি। তাই সব ক্ষেত্রে আমি মনে করি জনসাধারণের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা আরও বেশি।”
হাইকোর্টের সব বেঞ্চ বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী রবিবার থেকে হাইকোর্টের সব বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু হবে।
বিচার বিভাগ নিয়ে এক কথায় আপনার স্বপ্ন কি জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, উৎকর্ষতা, মেধার ভিত্তিতে পেশা পরিচালনা। কিছু ক্ষেত্রে তার বিচ্যুতি হয়ে থাকলে সেটাকে ঠিক করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণ পদ্ধতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কিছু টেকনিক্যাল ইস্যু রয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী মামলাটা এখনও রিভিউ আকারে আপিল বিভাগে আটকে আছে। সেটার নিষ্পত্তি হলে সুরাহা হবে।”
হাইকোর্টের সব বেঞ্চের প্রতিদিনের মামলার শুনানির পর তাৎক্ষণিক ফলাফল দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার কর্মকার, সিনিয়র সদস্য বিকাশ নারায়ণ দত্ত, সাজিদ হক, মিল্টন আনোয়ার ও আয়াতুল্লাহ আকতার প্রমুখ।
এদিকে এলআরএফ’র নেতা নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা অ্যাটর্নি জেনারেলকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।