Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫

মানুষ কী চায় তাতেই ঠিক হবে নির্বাচনের সময় : ড. ইউনূস

yunus
[publishpress_authors_box]

আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশের মানুষ কী চায়- তা বুঝে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গণআন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে আগামী নির্বাচন নিয়ে। বিএনপিও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের কথা তোলে। যদিও আন্দোলনে বিজয়ের পরপরই বিএনপির নির্বাচনের দাবি তোলা নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছিল অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা। 

এদিকে নির্বাচন আয়োজনের আগে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠকেও সে কথাই আবার বললেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, “দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।”

সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া কেমন হবে। তারা কি ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার চাইবে।

“যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না- আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।”

দেশের নাগরিকরা যেন কোনও বাধা বা হুমকি ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে সেই প্রক্রিয়া তৈরির ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডব্লিউইএফ-এর বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ক্লাউস শোয়াব ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে বাসস।

বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন, “তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করেছেন ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ। তার মতে, “এই প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি তরুণ নয় বরং সারাবিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ।”

এই প্রজন্ম পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না, তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়তে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “সকল রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।”

সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গতি ফিরেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত