ককপিটের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেওয়ায় সোমবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট।
অবতরণের আগে ফ্লাইটটি তিন ঘণ্টা ধরে নরসিংদী থেকে ফরিদপুরের আকাশে জ্বালানি তেল শেষ করার জন্য একাধিকবার চক্কর দেয়।
অবতরণের পর উড়োজাহাজটির যাত্রীদের রাত ৩টার দিকে আরেকটি ফ্লাইটে করে আবুধাবি পাঠানো হয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১২৭ ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে রাত ১০টা ৪ মিনিটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে রওনা দেয়।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটির ককপিটের উইন্ডশিল্ডে ফাটল লক্ষ্য করেন পাইলট। এরপরই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিন ঘণ্টা পর রাত ১টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবিগামী ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পর উইন্ডশিল্ডে সামান্য ফাটল দেখা যায়। জ্বালানি কমিয়ে রাত ১টা ২০ মিনিটে বিমানটি ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করে।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। এই মডেলের উড়োজাহাজের যাত্রী ধারণক্ষমতা ১৫১ জন।
তবে বিজি ১২৭ ফ্লাইটটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন, তা বিমান কর্তৃপক্ষ বা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বিমানের একটি সূত্র বলছে, ফ্লাইটটিতে শতাধিক আরোহী ছিলেন।
ওই ফ্লাইটের জরুরি অবতরণের বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে যায়। সেখান থেকে আরও যাত্রী নিয়ে এটি আবুধাবির উদ্দেশে রওনা দেয়।
“কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে রাতে ফ্লাইটটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে। পরে এয়ারক্রাফট পরিবর্তন করা হয়। যাত্রীদের নিয়ে রাত ৩টার দিকে আরেকটি ফ্লাইট আবুধাবির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।”