Beta
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

কমলা ঝড় থামিয়ে আবারও ফাইনালে ইংল্যান্ড

we3
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

ইংল্যান্ড ২ : ১ নেদারল্যান্ডস

ইয়োহান ক্রইফদের টোটাল ফুটবলে মন্ত্রমুগ্ধ করার ব্যাপার ছিল না এবারের নেদারল্যান্ডস দলে। তবে কমলা বিপ্লব ঘটিয়ে ঠিকই সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচটিতে এগিয়েও গিয়েছিল ডাচরা। কিন্তু কমলা ঝড় থামিয়ে নাটকীয় ২-১ গোলের জয় ইংল্যান্ডের। হ্যারি কেইন সমতা ফেরানোর পর শেষ মিনিটে ম্যাচ জেতানো গোলটি  বদলি খেলোয়াড় ওলি ওয়াটকিনসের।

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড। তাছাড়া মর্যাদার কোনও টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম দেশের বাইরে ফাইনালে পৌঁছল তারা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপটা ইংল্যান্ড জিতেছিল নিজেদের মাটিতে। গত ইউরোর ফাইনলও খেলে ওয়েম্বলিতে।

এবারের সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কোচ সাউথগেটের সাহসী সিদ্ধান্তের। অধিনায়ক হ্যারি কেইন আর ফিল ফোডেনকে ৮০ মিনিটে তুলে নিয়ে তিনি নামিয়েছিলেন ওলি ওয়াটকিনস ও কোল পালমারকে। সেই পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে ওয়াটকিনসের গোলেই আরও একবার ফাইনোলে তারা। শিরোপা মঞ্চে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে স্পেনের।

ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। জাভি সিমন্স বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন বুলেট শট। ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের উপায় ছিল না সেটা আটকানোর।

সপ্তম মিনিটে ডাচদের এগিয়ে দেন সিমন্স। ছবি : এক্স

সমতা ফেরাতে মরিয়া ইংল্যান্ড এরপর তোলে আক্রমণের ঢেউ। তাতেই ১৮ মিনিটে হ্যারি কেইনের পেনাল্টিতে সমতা ফেরায় ‘থ্রি লায়ন’। বক্সে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়ে ডেনজিল ডামফ্রিসের পা লাগে তার পায়ে। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক আছে কারণ কেইনের ভলিতে বল রিলিজের সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময় পর হয়েছে সংঘর্ষটা। তাছাড়া কেইনের ভলি ব্লক করতে গিয়েছিলেন তিনি। কেইনের পা তখন লাগে তার বুটে।

২৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের শট অবিশ্বাস্যভাবে গোললাইন থেকে সেভ করেন ডামফ্রিস। এর পাঁচ মিনিট পর কর্নার থেকে আসা বলে ডামফ্রিসের হেড বারে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত ডাচরা। ৩২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ফিল ফোডেনের শটও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। আগের দিন ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে একই জায়গা থেকে স্পেনের ইয়ামালের শট জড়িয়েছিল জালে।

বিরতির পর আক্রমণের গতি কিছুটা কমে যায়। দুই দল সতর্ক ছিল তখন। ৭৯ মিনিটে কাইল ওয়াকারের পাসে বুকায়ো সাকা বল জালে জড়ালেও গোল হয়নি অফসাইডের জন্য। তবে ৯০তম মিনিটে ওয়াটকিনসের গোলে সন্দেহ ছিল না আর। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে  সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শটে করা গোলে ইংল্যান্ডকে আনন্দে ভাসান অ্যাস্টন ভিলার এই ফরোয়ার্ড।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত