Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

এক ডিফেন্ডারের চমকে শেষ আটে ‘তুর্কি মেসির’ দল

১৬ বছর পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক। ছবি : এক্স
১৬ বছর পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক। ছবি : এক্স
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

অস্ট্রিয়া ১ : ২ তুরস্ক

আন্দ্রে গুলেরকে ডাকা হয় তুরস্কের মেসি। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচটিতে তিনি ঝলক দেখালেন আরও একবার। করলেন জোড়া অ্যাসিস্ট। সেন্টার ব্যাক মেরিহ দেমিরাল সেই অ্যাসিস্ট থেকে করলেন জোড়া গোল।

এই দুজনের যুগলবন্দীতে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০০৮ সালের পর ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালো তুরস্ক। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তারাও কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ২০০৮ সালের পরই।

হারলেও দাপটে খেলেছে অস্ট্রিয়া। গোলের জন্য পোস্টে ২১টি শট নিয়েছিল তারা, বলের দখল রেখেছিল ৬০.৩ শতাংশ। পাল্টা আক্রমণে তাদের জবাব দিয়ে গেছে তুরস্ক। তাতে এবারের ইউরোয় এ পর্যন্ত সবচেয়ে উপভোগ্য ম্যাচের সাক্ষী হলেন দর্শকরা। জোড়া গোল করা মেরিহ দেমিরাল রক্ষণেও ছিলেন প্রাচীর হয়ে। তাই আক্রমণের ঢেউ তোলা অস্ট্রিয়া পায়নি একটির বেশি গোল।

৫৭ সেকেন্ডের গোলে ইতিহাস গড়েছেন দেমিরাল।

র‌্যাঙ্কিয়ে ১৭ ধাপ এগিয়ে থাকা অস্ট্রিয়া গত মার্চে তুরস্ককে বিধ্বস্ত করেছিল ৬-১ গোলে। নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি অধিনায়ক হাকান চালহানোয়লুও। মেরিহ দেমিরাল চমকে এসব বাঁধা হয়নি তুরস্কের।

জুভেন্টাস, আতালান্তার মতো ক্লাবে খেলা দেমিরাল নাম লিখিয়েছেন সৌদি ক্লাব আল আহলিতে। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপিয়ান অধ্যায় শেষ করা এই ডিফেন্ডার ইউরোর ইতিহাসেই নকআউটের দ্রুততম গোলটি করলেন মাত্র ৫৭ সেকেন্ডে। গুলেরের কর্নার বিপদমুক্ত করতে পারেনি অস্ট্রিয়ার রক্ষণ।  ডিফেন্ডার স্টেফানের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যাওয়ার আগে গোলরক্ষক প্যাট্রিক পেনৎস  ঠেকালেও পেয়ে গিয়েছিলেন দেমিরাল।

 

জোরালো শটে বল জালে জড়ান তিনি, যা নকআউটের দ্রুততম গোল। ২০১৬ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানদোস্কি।

৫৯ মিনিটে আবারও গোল দেমিরালের।  গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান তিনি। একবিংশ শতাব্দীতে প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে মর্যাদার টুর্নামেন্টের নকআউটে জোড়া গোলের ইতিহাস গড়লেন তিনি। ফ্রান্সের সাবেক সেন্টার ব্যাক লিলিয়ান থুরাম ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন দুই গোল।

৬৬ মিনিটে এক গোল ফিরিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার মিখাইল গ্রিগোরতেস। কর্নারে সতীর্থের হেড ছয় গজ বক্সে পেয়ে নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়িয়েছিলেন তিনি। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে বমগার্টনারের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মের্ট গুনোক। তাকে ঘিরে সতীর্থরা মেতে উঠেন উচ্ছ্বাসে। শেষ বেলায় সেই সেভটা না হলে বিফলে যেতে পারত মেরিহ দেমিরালের ইতহাস গড়া জোড়া গোল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত