সার্ভার ও ইউপিএস কেনায় অনিয়ম করার অভিযোগে করা দুর্নীতির মামলায় ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। অন্যদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডাক বিভাগের সাবেক এই কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করে।
গত ২০ আগস্ট ১৫ কোটি টাকার সার্ভার ও ইউপিএস কেনায় অনিয়ম করার অভিযোগে সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা থেকে ৫০০টি এইচপি সার্ভার, উইনার ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনা হয়। সেগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ডাকঘরে বিতরণ করা হয়।
পরে ওই প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এজাহারে বলা হয়, প্রকল্পটি শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের জুন মাসে। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনও কোনও মালামাল প্রকল্প শেষের প্রায় দুই বছর পর সরবরাহ করা হয়। টেলিফোন শিল্প সংস্থার টঙ্গী, গাজীপুর অফিসে এসব যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এমনকি প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত এসব যন্ত্র ব্যবহারের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে তদন্তে জানা যায়। যন্ত্রগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তার কোনও নির্দেশনা ডাক বিভাগের প্রকল্প কর্তৃপক্ষ থেকে আঞ্চলিক অফিসকে না দেওয়ায় সেগুলো কোনও কাজে আসেনি।
আসামিদের নামে তাই দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।