Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

কেন জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চান, ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া আর কেউ জনগণকে ব্যবহার করতে পারে না। সংস্কার করতে হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথা জানান। সেইসঙ্গে কেন দ্রুত নির্বাচন কেন চান, তাও ব্যাখ্যা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই, এটা পরিস্কার করেছি। কেন দ্রুত নির্বাচন চাই?

“এজন্য চাই যে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। সেজন্য আমরা মনে করি সংস্কার করতে হলে, তা নিয়ে যেতে হবে পার্লামেন্টে। সেখান থেকে অনুমোদন করা হবে, ডিবেট করে সেখানে সেটা পাস করাতে হবে এবং জনপ্রতিনিধিকে গ্রহন করিয়ে সেটা করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে তত দেশের জন্য মঙ্গল।”

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সময়ক্ষেপনের ফলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পরিণত হতে পারে, এমন শঙ্কার কথা জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনি দেখবেন বিভিন্ন মহল বিভিন্ন জায়গায় দাবি-দাওয়া নিয়ে আসছে। কেন বাবা? এখন নিয়ে আসছো? অপেক্ষা করো? জনগনের সরকার আসুক।

“এসব বিষয়গুলো মাথা রাখতে হবে। অনেকে বলে যে, এতদিন পারিনি তাই এখন দাবিগুলো আনছি। কিন্তু এতে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।”

‘কিছু উপদেষ্টার কথায় খটকা লাগে’

মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, দায়িত্ব যারা পালন করছেন তারা যেন এমন কোনও কাজ না করেন বা এমন কোনও কথা না বলেন যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।

“আমাদের সম্ভবত লোকাল গভর্নমেন্টের অ্যাডভাইজার সাহেব (হাসান আরিফ) বলেছেন, চার বছর সরকারের মেয়াদ। এটা তার বলার কথা নয়। তারা কমিশন গঠন করেছেন সেই কমিশন প্রস্তাব দেবেন, জনগণ এক্সসেপ্ট করবে তারপরেই না ঠিক হবে।

“কিন্তু যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন তিনি যদি বলেন যে, সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে তাহলে একটা চাপ পড়ে যায়। এই কাজটা শেখ হাসিনা খুব ভালোভাবে করতেন। যেকোনো মামলার রায়ের আগে বলে ফেলতেন, ওইটা কখনও সঠিক পথে নিয়ে যাবে না। তাই অনুরোধ করব, এমন কথা-বার্তা না বলা যেটায় জনগণ বিভ্রান্ত হয়।”

জাতীয় প্রেসেক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব।

আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির তানিয়া রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্যরা।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস : বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি

আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “এবার তরুণ প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ৭ নভেম্বরকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে পালন করবে বিএনপি। এজন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি জানান, ৭ নভেম্বর সকালে সারা দেশে দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাবেন তারা।

একইদিন সন্ধ্যায় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

এছাড়া  ৮ নভেম্বর রাজধানীতে র‍্যালি বের করা হবে। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতেও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, “যানজটের কথা চিন্তা করে ৭ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখ (শুক্রবার) র‍্যালি করা হবে। ওইদিন জুমার নামাজের পরে শুরু হবে র‍্যালি। এক ঘণ্টার মধ্যে তা শেষ করা হবে।

“বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করবে। দিবস উপলক্ষ্যে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।”

৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “কারণ এই দিনে বাংলাদেশের স্বাতন্ত্র ও আধিপত্যবাদ থেকে বেরিয়ে আসার সূচনা হয়েছিল। সিপাই-জনতার যে ঐক্য সেখান থেকে এই দিনটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

গত ১৫ বছর আমাদের তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখন আমরা তাদের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত