Beta
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে : প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেইজ
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেইজ
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাসস জানিয়েছে, শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

দেড় দশক ধরে ক্ষমতা থাকা আওয়ামী লীগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনে ‘ফ্যাসিস্ট’ তকমা নিয়ে বিদায় নেওয়ার তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তার দলের বেশ কয়েকজন নেতাও বিদেশে পালিয়ে আছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম।”

নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।”

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “আজকের বিশ্বে নারীরা যতটুকু অধিকার আর স্বাধীনতা চর্চা করতে পারছেন এর পুরোটাই তাদের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়েছিল নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।

“বাংলাদেশেও নারীরা ন্যায্য অধিকারের জন্য যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে এসেছে। তেভাগা থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলার নারীসমাজ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।”

তিনি বলেন, “ইতিহাসের অনেক বীর নারীদের আমরা ভুলে গেছি, তাদের অবদানের কথা জানি না। কিন্তু জুলাই কন্যাদের নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের কথা আমরা কিছুতেই ভুলে যেতে দেব না।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।”

সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী হয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আমরা আমাদের প্রত্যাশিত পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মার, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের নতুন করে নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়, অনুপ্রেরণা আর সাহস যোগায়। সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, যত বাধাই আসুক না কেন ইতিহাস আমাদের যে সুযোগ করে দিয়েছে, সে সুযোগ আমরা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করবোই। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বই। এই আমাদের প্রতিজ্ঞা।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত