অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শপথ নিয়েছেন আরও দুই জন উপদেষ্টা। আনুষ্ঠানিকভাবে কারও দায়িত্ব বণ্টন করা না হলেও ফারুকী যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন, তা ইতিমধ্যে সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছেন তার এক ঘনিষ্ঠ জন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর বঙ্গভবনে নিজের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ফারুকী।
তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। কারণ আমি কখনোই কোন পদ বা কোন চেয়ারে বসবো এটা ভাবি নাই। তবে, প্রফেসর ইউনুসের কলিগ হওয়া অনেক লোভনীয়। না বলাটা অনেক মুশকিল। আশা করি, আমি যে কয়দিনই কাজ করবো কিছু পরিবর্তন আমি ঘটাতে পারবো। সেটা ঘটাতে পারলে আমি মনে করবো যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আসছি সেটা সফল হবে।”
নিজের কাজের ভুল-ত্রুটি, সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করবেন জানিয়ে বলেন, “আর আমি যদি কোন ভুল করি, সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, ভুলগুলো ধরিযে দিবেন। আমি সেটা সাদরে গ্রহণ করবো।”
ফারুকীর উপদেষ্টা পদে শপথ নেয়ার দিন তার সাথে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। জননন্দিত এ নির্মাতার উপদেষ্টা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে দুপুর থেকেই, শুভেচ্ছাতেও সিক্ত হতে থাকেন।
নিজের একটি নির্মাণাধীন প্রজেক্টের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফারুকী। শুটিং স্পট থেকেই শপথ নিতে বঙ্গভবনে যান তিনি।
বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটক দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এখন পুরোপুরি চলচ্চিত্র নির্মাতা।
টিভি নাটকে হাত পাকিয়ে ২০০৪ সালে ব্যাচেলর নামে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। তারপর এই পর্যন্ত ১১টি সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। তার আগে নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়েছেন অসংখ্য। নিজস্ব ঢঙে নাটক, চলচ্চিত্র নির্মাণের তাগিদে তিনি তৈরি করেন ‘ছবিয়াল’ নামে একটি সংগঠন। তার এই সংগঠনের সদস্যরা বর্তমান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন মাতিয়ে রেখেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন ফারুকী।