দায়িত্ব মানুষকে ব্যতিক্রম করে তোলে। আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করে। কখনও কখনও নেতৃত্ব কোন মানুষের সেরা গুণও বের করে আনে। লিটন দাসকে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে পারলে সেরকম কিছু আশা করছেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।
নিয়মিত অধিনায়ক শান্ত চোটের কারণে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন লিটন। তার নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সিরিজজুড়ে তার দারুণ নেতৃত্ব প্রশংসনীয় হয়।
নেতৃত্ব যেমন প্রষ্ফুটিত হয়েছে তেমনি ভাবে লিটনের ব্যাট ফুটে ওঠেনি। ব্যাটার লিটনের খুব বাজে সময় যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ওয়ানডে মিলিয়ে তার রান ছিল ছয়, তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোট করেছিলেন ১৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ২৪ ইনিংসে তার ফিফটি একটি। চলতি বিপিএলেও প্রথম তিন ম্যাচে তার রান ৩১, ০ ও ২।
তবে ব্যাটিং ফর্ম আর নেতৃত্বকে মেলাতে চান না বিসিবি সভাপতি। বলেছেন, “আমি সবসময় মনে করি যে, ক্রিকেট মস্তিষ্ক, মেধা, নেতৃত্বের সামর্থ্য, এসবের সঙ্গে ফর্মের সম্পর্ক নেই। কেউ যদি দীর্ঘদিন ফর্মে না থাকে, অবশ্যই সেটা একটা ব্যাপার। তবে ফর্ম তো…একটা ব্যাটসম্যান আউট অব ফর্ম হবে, এটা খুব সাধারণ প্রক্রিয়া।”
লিটনের প্রসঙ্গে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাদেরও উদাহরণ হিসেবে দেখালেন ফারুক আহমেদ। এ প্রসঙ্গ টেনে লিটনকে নেতৃত্ব দিয়ে ফর্মে ফেরানোর চেষ্টার কথা বলেছেণ, “বিরাট কোহলিও রান করতে পারছে না, রোহিত শার্মা যে ধরনের খেলোয়াড়, রান করতে পারছে না। অনেক সময় একটা খেলোয়াড়কে দুইভাবে সাহায্য করা যায়। যদি অধিনায়কত্ব দিলে ফর্মে ফিরে আসতে পারে। ফর্মে ফিরতে না পারলেও খুব ভালো অধিনায়কত্ব সে করেছে। এটা বিরাট গুণ একজন অধিনায়কের, যদি ব্যক্তিগত ফর্ম তার অধিনায়কত্বে প্রভাব না ফেলে। আমি আশা করি, সে ফর্মে ফিরবে খুব শিগগিরই।”
বাংলাদেশের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি আগামী মার্চ-এপ্রিলে। নতুন অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই খুব তাড়াহুড়ো করতে চান না বিসিবি সভাপতি। নাজমুল হোসেন শান্ত সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেও নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি বিসিবি।
