প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতির একটি অংশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে জানানো হয়েছে, যা নিয়ে দেশের ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে বলে মনে করছে এফবিসিসিআই। তারা বলছে, সরকার ব্যাংক ঋণ নিলে বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের ঘরে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন- এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম তাৎক্ষণিক বাজেট-প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ঘাটতি বাজেটের ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। কিন্তু সেটা নিলে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ নেওয়া ব্যাংক থেকে কঠিন হবে। আমি আশা করি, সরকার এই টাকাটা ব্যাংক থেকে না নিয়ে বৈদেশিক ঋণ নিলে ভালো হয়।
“রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। তা আসলে কতটুকু অর্জন হবে, তা জানি না। কিন্তু যদি করজাল বাড়ানো যায় তাহলে এটা অর্জন সম্ভব হতে পারে।” একইসঙ্গে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
এফবিসিসিআই মতিঝিল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের পরিমাণ না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেক বাজেটে দেখা যায় বাজেটের আকার ১০-১২ শতাংশ বাড়ে, কিন্তু এই সময় সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি বাস্তবসম্মত হয়েছে।”
মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গ টেনে মাহবুবুল আলম বলেন, “সরকার যদি নতুন করে কোনও এমবিসিয়াস প্রজেক্ট না নেয়, আর যেসব কার্যক্রমের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা যদি সুষ্ঠুভাবে পালন করা হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘরে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।”
আগামী শনিবার (৮ জুন) বাজেট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাবে এফবিসিসিআই।