আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাংলাদেশ পেয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আইএমএফের ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালোই করছে। তারা যেসব শর্ত দিয়েছে, বাংলাদেশ তার বেশির ভাগই পূরণ করেছে।
“নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি আজ (বৃহস্পতিবার) এসেছিলেন। সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল মার্চ মাসে ঢাকায় আসবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। আশা করছি, বাংলাদেশ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়ে যাবে।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা ভালো। এটা হতেই পারে।
“উন্নত অর্থনীতিতে অহরহ একীভূতকরণ হয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাংক একীভূতকরণের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আসেনি। প্রস্তাব আসুক, তারপর দেখা যাবে।”
অর্থমন্ত্রীর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এক সাংবাদিক বলেন, আইএমএফের শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল। এ নিয়ে আইএমএফ কিছু বলেছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারা যেসব লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, বাংলাদেশ সেগুলো মোটামুটি পূরণ করেছে।”
কিস্তির বাইরে নতুন কোনও বাজেট সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবে। পরিস্থিতি ভালো, দেখা যাক, কী হয়; বাংলাদেশ পরীক্ষায় পাস করেছে।”
ভালো করার লক্ষণগুলো কী—এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভালো করছি—এটাই তো ইতিবাচক বিষয়। ফেল করলে কি আমরা বলব যে পাস করেছি।”
ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের প্রসঙ্গ এলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাজারভিত্তিক নয়, যে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির কথা হয়েছে, সেটাই চলবে।”
২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের দুই দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।
গত ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার অনুমোদন দেয় আইএমএফ। গত ১৫ ডিসেম্বর ওই অর্থ বাংলাদেশের রিজার্ভে জমা হয়।