Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

সবার আগে প্লে-অফে রংপুর

WhatsApp Image 2025-01-17 at 7.28.45 PM
[publishpress_authors_box]

বিপিএলে রংপুর রাইডার্স মানেই যেন অবধারিত জয়। অন্তত এবারের বিপিএলে তাদের পারফরম্যান্স দেখে তেমনই মনে হচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নামছেন। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ছেন রংপুরের ক্রিকেটাররা।

শুক্রবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখল দলটি। এবার চিটাগং কিংসকে হারাল ৩৩ রানে। এই জয়ে সবার আগে প্লে-অফে রংপুর।

মাত্র ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোয় ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতাটা সহজ ছিল না চিটাগং কিংসের জন্য। জিততে হলে শেষ ১৮ বলে ৪৮ রান করতে হতো স্বাগতিকদের। এমন সমীকরণ যখন মেলাতে হবে তখন উইকেটে ছিলেন শামীম হোসেন। তবে তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো বিশেষজ্ঞ কোনও ব্যাটার ছিল না। তবে শামীম উইকেটে থাকায় তখনও জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন চিটাগংয়ের সমর্থকরা।

একটু পরই সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন ইফতিখার আহমেদ। ডানহাতি স্পিনারের লো ফুলটস ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৩৮ রান করা শামীম। বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়ে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় চিটাগংয়ের। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের থামতে হয় ১৩১ রানে। টানা আট ম্যাচের সবকটিতে জিতলেন নুরুল হাসান সোহানরা।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। একেবারে শুরু থেকেই তৌফিক খান তুষার ও স্টিভেন টেলরকে আটকে রাখে চিটাগংয়ের বোলাররা। খানিকটা চাপে পড়ে আলিস আল ইসলামের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ওয়াসিমকে ক্যাচ দিয়েছেন ৫ রান করা তৌফিক। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারালেও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাইফ হাসান ও টেলর।

যদিও টি-টোয়েন্টির চাহিদা মিটিয়ে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তাদের দুজনের কেউই। পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন আলিস। ডানহাতি স্পিনারের বলে লেগ বিফোর হয়েছেন ১৭ রান করা সাইফ। পরের ওভারে ফিরেছেন ওপেনার টেলর।

নাঈমের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটার। ছন্দে না থাকা টেলর আউট হন ৩২ বলে ৩৯ রান করে। পরের ওভারে ইফতিখার আহমেদকে ফেরান আরাফাত সানি। টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর।

খুশদিল শাহর সর্বোচ্চ ৫৯ রান ও শেষ দিকে মেহেদীর ১৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানের পুঁজি পায় রংপুর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত