মহিষ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শুক্রবার ঢাকার সাভারে এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এক সময় কৃষি কাজে প্রাণি হিসেবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো। আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।”
সাভারের বিসিডিএমএ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষ পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে মহিলারা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চরে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ইতোপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কীভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
ইতালিতে মহিষ চাষ অত্যন্ত সফল ও লাভজনক খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।”
প্রফেসর ওমর ফারুকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড. অশোক কুমার বালহারা, ড. যাদব, ড. হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।