Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

ডাকের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে এবার ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র।
ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি প্রকল্পে সরকারের ৯১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

এর আগে ২০ আগস্ট ডাক বিভাগের আরেকটি প্রকল্পের ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে সুধাংশু শেখর ভদ্র ও ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে আরকেটি মামলা করেছিল দুদক।

এই মামলায় মামলায় গত ১৫ অক্টোবর সুধাংশু শেখর ভদ্রকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু তার আগাম জামিনের নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে সেদিনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানান, ডাক বিভাগের সাবেক এই ডিজির বিরুদ্ধে পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটির প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সুধাংশু শেখর দায়িত্ব পালনের সময় প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যার মাধ্যমে তিনি সরকারের ৯১ কোটি ৯৪ লাখ ছয় হাজার ৪৬৫ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছেন এবং এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

সাবেক এই ডিজি শর্ত ভঙ্গ করে প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনলেও তা ব্যবহারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।

২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্পে টেলিফোন শিল্প সংস্থা সব যন্ত্রপাতির উৎপাদনকারী ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান না হলেও ডিপিএম পদ্ধতিতে সংস্থাটির কাছ থেকে বিভিন্ন সামগ্রী কেনা হয়। এসব যন্ত্রপাতি কেনার পরিকল্পনায় আর্থিক শৃঙ্খলা এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ এর সুস্পষ্টভাবে লংঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সরবরাহ করা হয়, যন্ত্রপাতি মাঠ পর্যায়ের দপ্তরে ব্যবহার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা জারি করা হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে ও পরবর্তীতে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়ও ওইসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উদ্যোগ নেননি সুধাংশু শেখর ভদ্র।

এমনকি তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেও যন্ত্রপাতির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেননি। ফলে ওই সব যন্ত্রপাতির মধ্যে অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানের কোনও কাজে আসেনি, এতে জনগণ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় শুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত