মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা এবং চাচীকে মা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরবর্তীতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করা হয় বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩৫ ব্যাচের কর্মকর্তা কামাল হোসেন বর্তমানে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি সুকৌশলে তার প্রকৃত বাবা-মার বদলে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচী মোছা. সানোয়ারা খাতুনের নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি পাওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
তার প্রকৃত বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুন মুক্তিযোদ্ধা নন জানিয়ে এজাহারে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আলাদাভাবে তদন্ত করে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
মামলা তদন্তে মো. কামাল হোসেনের ডিএনএ টেস্টেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাইয়ের ইউএনও মো. কামাল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ মিথ্যা-বানোয়াট একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে এবং পরে হয়তো দুদকে জমা দিয়েছিল। আমি অভিযোগের বিপরীতে মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছি। তাদের শুনানিতেও অংশ নিয়েছি। আমার তো কোনও জাল নথিপত্র নেই। তারপরও কেন মামলা হল, সেটা তো আমারও প্রশ্ন।”