মিউজিক প্রডিউসার ফুয়াদ আল মুক্তাদির এবং তার ব্যান্ড ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস (এফএনএফ) তাদের ডিসেম্বর ট্যুর শেষ করল একের পর এক চমকপ্রদ পারফর্মেন্স দিয়ে।
পাবলিক শোয়ের পাশাপাশি এই ট্যুরে ছিল বেশ কিছু প্রাইভেট ইভেন্ট, বিশেষ করে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিপিএল মিউজিক ফেস্ট ছিল যার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
শ্রোতা এবং সমালোচকরা ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এর পারফর্মেন্সকে দেশের অন্যতম পরিপূর্ণ এবং শক্তিশালী স্টেজ শো হিসেবে প্রশংসা করেছেন। বিপিএল মিউজিক ফেস্টের দর্শকরা বলেছেন, ব্যান্ড মঞ্চে উঠতেই পুরো পরিবেশ বদলে যায়। তাদের সুর, আলো, ফ্যাশন এবং স্টেজ পারফর্মেন্স একসঙ্গে মিলে তৈরি করে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। যা দেশের সংগীতের মানকে আরও এক ধাপ উপরে নিয়ে গেছে।
ফুয়াদের গানের মধ্যে পুরনো দিনের সুরের সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করে। শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে এই ট্যুরে নিউ ইয়র্ক থেকে কয়েকজন শিল্পী নিয়ে এসেছিলেন ফুয়াদ।
বিপিএল’র স্টেজে অতিথি শিল্পী হিসেবে সঞ্জয় (ডিজে সঞ্জয় যিনি বলিউডেও নাম করেছেন) এবং জনপ্রিয় প্রবাসী শিল্পী মুজা যুক্ত হয়ে পরিবেশনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন, তাদের পারফর্মেন্সে বিভিন্ন ঘরানার সুর এবং স্টাইল ফুটে ওঠে।
মঞ্চে পারফর্মেন্সের এমন দ্যুতিময় উপস্থাপনার জন্য ফুয়াদ কৃতিত্ব দিলেন তার শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের। ফুয়াদ বলেন, “দলের প্রতিটি সদস্যের নিষ্ঠা ও পারফর্মেন্সের শক্তিমত্তাই ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডসের সফলতার পেছনে ভূমিকা রাখছে।”
তবে দলের সদস্যরা মতে এই একই টিম যদি অন্য কোনো মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে থাকতো, তাহলে এই পারফর্মেন্স সম্ভব হতো না। প্রতিটি শোতেই শ্রোতারা নতুন নতুন মিউজিক্যাল এক্সপেরিয়েন্সের ভেতর দিয়ে যেতে পেরেছে।
প্রায় দুই দশক ধরে ফুয়াদের হাত ধরে দেশের সংগীতাঙ্গনে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেক শিল্পী। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বরাবরই ফুয়াদের তাই নতুনদের সাথেই কাজের ইচ্ছে। ডিসেম্বর ট্যুরের পর শ্রোতারাও নিশ্চয়ই পরবর্তী ট্যুরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকবেন।
নতুন বছরের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, “ইয়াং আর্টিস্টদের নিয়ে কাজ করতে চাই। তাদের কাছ থেকে শিখতে চাই প্লাস তাদের হেল্প করতে চাই। আশা করছি প্রতি বছরই নতুন কিছু শিল্পী নিয়ে হাজির হবো। শুধু দেশেরই নয়, প্রতি বছর কিছু নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি শিল্পীদেরও শ্রোতাদের কাছে হাজির করতে চাই।”
ফুয়াদের দলে রয়েছেন জাকির হোসেন (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার), তাসনিম বাতুল (ম্যানেজমেন্ট এবং অপারেশন), ভোকালিস্ট হাসিব, তাশফি এবং আনিকা, গিটারিস্ট প্রীতম এবং ওয়াসি, ড্রামার আমজাদ হোসেন, পারকাশনিস্ট মিঠুন দাস, বেস গিটারিস্ট পাভেল, অতিথি সংগীতশিল্পী আনন্দ শিকদার, কামরুল হাসান এবং রাহিন হালদার।
