Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫

আগামীর রাজনীতি ও নতুন প্রজন্ম

এখন পুরোনো কায়দায় রাজনীতি করলে সেটা হবে আবার পেছন দিকে হাঁটা। তরুণ প্রজন্ম ও নাগরিক সমাজ তা মেনে নেবে বলে মনে হয় না। ছবি: সকাল সন্ধ্যা।

একুশ শতকের প্রায় সিকিভাগ পেরিয়ে আমরা ২০২৫ সালে যাত্রা শুরু করলাম। সদ্যবিদায় নেওয়া ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। ওলট-পালট হয়ে গেছে রাজনীতি, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় সব বিধিব্যবস্থা। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হয়েছে। নতুন করে সংবিধান লেখার কাজ শুরু হয়েছে। বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন, নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, গণমাধ্যম, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্যখাত, শ্রম এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। বহু বছরের প্রথাপদ্ধতি-কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। অব্যবস্থাপনা ও লুণ্ঠনের ফলে অকার্যকর হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে উথাল-পাথাল অবস্থা চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে। মূল্যস্ফীতির ছোবলে মানুষ জেরবার। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নানান গোষ্ঠী নানান বায়না বা আবদার নিয়ে মাঠ গরম করছে। এটা চাই, ওটা চাই, দিতে হবে, করতে হবে। নৈরাজ্য চলছে সবখানে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশ এ রকম পরিস্থিতিতে আর পড়েনি।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের পর দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাতারাতি ‘গায়েব’ হয়ে গেছে; বলা যায় অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। প্রায় পাঁচ মাসেও দলটি বিকল্প নেতৃত্বের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনও উপায়ে রাজনৈতিক উপস্থিতি জানান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নেতাদের অনেকেই জেলে। বাকিরা পলাতক। কর্মীরাও নিজেদের দলীয় পরিচয় মুছে ফেলতে তৎপর। কেননা আওয়ামী লীগ পরিচয় এখন গণধোলাই ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের মিত্র দলগুলোর অবস্থাও একই রকম। আওয়ামী জোটের সাবেক দুই মন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনুকে শুরুতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পার্টনার জাতীয় পার্টিও কোনঠাসা অবস্থায় আছে। গত সাড়ে ১৫ বছর তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। তাদের নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।

এ অভাবনীয় পটভূমিতে রাজনীতির মাঠ এখন বিএনপি ও জামায়াতসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এই দলগুলো সাংগঠনিক শক্তিকে সুসংহত করতে ঘরে-বাইরে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে তারাও রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সব কর্মকাণ্ড সমর্থনও করতে পারছে না। আবার এই সরকারের বিরুদ্ধে দৃঢ় কোনও ভূমিকাও নিতে পারছে না।

এ অভাবনীয় পটভূমিতে রাজনীতির মাঠ এখন বিএনপি ও জামায়াতসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এই দলগুলো সাংগঠনিক শক্তিকে সুসংহত করতে ঘরে-বাইরে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে তারাও রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সব কর্মকাণ্ড সমর্থনও করতে পারছে না। আবার এই সরকারের বিরুদ্ধে দৃঢ় কোনও ভূমিকাও নিতে পারছে না। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তাদের দল বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। সংস্কারের বিষয়টা রাজনৈতিক সরকারের এজেন্ডা বলেও তারা মনে করে।

বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে যতটা সরব, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিয়ে ততটাই উদাসীন। কিছু ক্ষেত্রে তারা সংস্কার প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু অতীতের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তারা কী করবেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোথায় কতটুকু পরিবর্তন আনবেন, দেশে যেন একক ব্যক্তির স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য কি কি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করবেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির মধ্যে তেমন কোনও ভাবনা-চিন্তা লক্ষ করা যাচ্ছে না। অথচ এবারের গণঅভ্যূত্থানের মূল চেতনাই কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার উচ্ছেদ।

আগামীতে নতুন বাংলাদেশ রচিত হবে, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে— সেটাই ছিল আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা। সেই অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্রদের একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। অতীতের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনার কথা তারা বলছে। বছরের শেষ দিনে তারা একটা ঘোষণাপত্র প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা অন্তবর্তী সরকারকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই ‘জুলাই অভুত্থানের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে এবং নতুন সংবিধানের জন্য ‘গণপরিষদ’ গঠনের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে দেশে যেন আওয়ামী স্বৈারাচার আর ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য তারা বেশ কিছূ ঘোষণাও দিয়েছে।

আগামীতে নতুন বাংলাদেশ রচিত হবে, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে— সেটাই ছিল আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা। সেই অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্রদের একটি অংশ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। অতীতের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনার কথা তারা বলছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যেও পরিবর্তনের তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ যুগের পর যুগ ধরে দুর্নীতি, অপশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার দেখে প্রথাগত রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি সবাই বীতশ্রদ্ধ। বিশেষত সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্ক নিয়েও অনেকে ক্ষুব্ধ। নিকট অতীতে সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে তেমন কোনও সদ্ভাব লক্ষ করা যায়নি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগকে মেরে-পিটিয়ে-মামলা দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে। আবার আওয়ামী লীগও একই আচরণ করেছে বিএনপির সঙ্গে। যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায়, সরকারপক্ষ ও বিরোধীপক্ষ থাকবেই। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বৈরিতাও থাকবে। বৈরিতা মোকাবেলায় ক্ষমতাসীনরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে, নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধীপক্ষও বিভিন্ন কৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণ করে। ক্ষমতায় যেতে বা ক্ষমতা পর্যন্ত পৌঁছাতে যত পরিশ্রম ও চেষ্টা করতে হয়, তার বেশিরভাগই হয় স্বচ্ছ; কিন্তু ক্ষমতায় থেকে যেতে বা ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে যে তৎপরতা চালানো হয় তার বেশিরভাগই হয় অস্বচ্ছ। বাংলাদেশের রাজনীতি এ বৃত্তেই ঘুরপাক খেয়েছে বছরের পর বছর।  

রাজনৈতিক অঙ্গনে দমন-পীড়ন, ভোটের নামে প্রহসন, ক্ষমতাসীনদের দম্ভ, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, পাচার ইত্যাদি ঘটনা মানুষকে ক্ষুব্ধ ও বিচলিত করেছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের সমালোচনাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলে জনমনে সৃষ্ট চাপা ক্ষোভ জুলাই-আগস্টে এসে বিস্ফোরিত হয়েছে।

এখন পুরোনো কায়দায় রাজনীতি করলে সেটা হবে আবার পেছন দিকে হাঁটা। তরুণ প্রজন্ম ও নাগরিক সমাজ তা মেনে নেবে বলে মনে হয় না। মনে রাখা দরকার যে, সংসদ, নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম, বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন, রাষ্ট্রক্ষমতার দায়বদ্ধতা, নাগরিক অধিকার, গণতন্ত্রের এই কেতাবি দিকগুলোর উপর ছায়াবিস্তার করে থাকে এক মূর্ত বাস্তবতা এবং একই সঙ্গে এক বিমূর্ত ধারণা, যার নাম নাগরিক সমাজ। এই নাগরিক সমাজের রাজনৈতিক আচরণ এবং কর্মকাণ্ড কোন পথে এগোবে, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কিন্তু, কোনও নির্দিষ্ট মুহূর্তে নাগরিক সমাজের রাজনৈতিক আচরণের স্বকীয়তা বা স্বাতন্ত্র্যকে বুঝে তাকে নিজস্ব কর্মসূচির পক্ষে নিয়ে আসাটা হচ্ছে প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাজ। রাজনীতিকে সেই পথে পরিচালিত করতে হবে। দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত জনসাধারণ চরম অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে যারা বেঁচে থাকার এবং খাদ্য-কাজ-বাসস্থান-নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে সেই রাজনৈতিক শক্তিই শক্তিশালী হবে।

এখন পুরোনো কায়দায় রাজনীতি করলে সেটা হবে আবার পেছন দিকে হাঁটা। তরুণ প্রজন্ম ও নাগরিক সমাজ তা মেনে নেবে বলে মনে হয় না।

নতুন রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব কিংবা পুরাতন শক্তির রূপান্তর— যে শক্তিই এ দেশে রাজনীতি করবে, তাদের নতুন প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই রাজনীতি করতে হবে। একুশ শতকে পৃথিবীর রাজনীতি, অর্থনীতিসহ চিন্তা-চেতনার সব ক্ষেত্রেই এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। স্বভাবতই এতে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। দ্বিমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার বিপরীতে গড়ে উঠেছে বহুমেরুকেন্দ্রিক ব্যবস্থা। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনাতেও। রাজনীতিও হয়ে উঠছে জটিল থেকে জটিলতর। এখনকার তরুণরা রাজনীতির চিরায়ত তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের চেয়ে জীবনের তাৎক্ষণিক এবং আশু সমস্যা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তারা বাঁচতে চায়, সেই সঙ্গে বেঁচে থাকাকে উপভোগও করতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই নতুন যুগের এই নতুন চ্যালেঞ্জকে পুরোনো ধ্যান-ধারণা দিয়ে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।

পরিবর্তিত এই দেশীয় ও বৈশ্বিক বাস্তবতা সামনে রেখেই সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতিকে বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্বে তরুণ জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। আবার এই তরুণদের একটা বিশাল অংশ বেকার বা কর্মহীন। তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মনোযোগ দেওয়া উচিত ভবিষ্যতের দিকে। আমাদের দেশের রাজনীতি প্রায় সব সময়ই ওপর থেকে নিচে যায়। নিচ থেকে ওপরে ওঠে না। এই ধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। মাঠপর্যায়ে এখন আর রাজনীতি নেই বললেই চলে। কেউ স্বীকার করতে না চাইলেও বাস্তবতা এটাই, মাঠের বা তৃণমূলের রাজনীতি এখন চৈত্র মাসের পানিশূন্য ডোবার মতো।

মনে রাখতে হবে, বিশ্বে তরুণ জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। আবার এই তরুণদের একটা বিশাল অংশ বেকার বা কর্মহীন। তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

অথচ একটা সময় ছিল যখন রাজনীতির গতিমুখ ছিল তৃণমূলে। মানুষের মধ্যে থেকে, মানুষের জন্য কাজ করে তৃণমূলে যাঁরা জনগণের বিশ্বস্ত নেতা হয়ে উঠতেন, তাঁরাই ধাপে ধাপে জাতীয় রাজনীতিতে ঠাঁই পেতেন। এখন ধারা বদলে গেছে। এখন নেতা হওয়ার জন্য জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। এখনকার বেশির ভাগই হাইব্রিড নেতা। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া। রাজনীতি এখন বিত্তবান হওয়ার উপায়। কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফা। এখনকার রাজনীতি হলো পাওয়া এবং খাওয়ার রাজনীতি। কিন্তু সবাই তো আর খেতে-পরতে পারছেন না। তাই তৈরি হচ্ছে দ্বন্দ্ব। পাওয়া গ্রুপ এবং না-পাওয়া গ্রুপের দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট যে কেন্দ্র থেকে হুকুম দিয়েও এটা দূর করা সম্ভব হবে কি না, বলা মুশকিল।

রাজনীতিবিমুখ প্রজন্ম যখন জাতীয় রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হয়ে আত্মপ্রকাশ করে, তখন যেমন জাতীয় জীবনে আশাজাগানিয়া নতুন সৃষ্টির অমিত সম্ভাবনা জেগে ওঠে, তেমনি আশঙ্কাও দানা বাঁধে ধ্বংসের সূচনার; যদি তাকে যথাযথ পরিচর্যা করা না যায়। আগামী দিনের রাজনীতিবিদদের এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখতে হবে। অন্যথায় হারিয়ে যেতে হবে ইতিহাসের কানাগলিতে।

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: chiros234@gmail.com

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।
ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত