আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন এ তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী।
গত ২২ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তারিখ ধার্য করেছিল আদালত।
জি কে শামীম কারাগারে আছেন; তার মা আয়েশা আক্তার রয়েছেন পলাতক।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরে ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
২০১৯ সালে দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনটি মামলা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারের আগে শামীম নিজেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। কখনও যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, আবার কখনও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দিতেন তিনি। যদিও তার সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করা হয়নি।
আলোচিত এই ঠিকাদার পরিচিত ছিলেন সাত জন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরার কারণে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতা দেখিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বড় ঠিকাদারী কাজের প্রায় সবই নিজের প্রতিষ্ঠানের দখলে নিতেন তিনি।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। অর্থ পাচারের মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
অস্ত্র মামরায় সাজা পাওয়া তার সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।