২১ ঘণ্টা পরা নিয়ন্ত্রণে এসেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় গাজী টায়ারসের কারখানায় লাগা আগুন।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারখানার অবশিষ্ট ছয়তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
পরে ব্রিফিংয়ে ঢাকার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় ২১ ঘণ্টা পর আগুন নেভানো গেছে।
এর আগে রবিবার দুপুর থেকে কারখানাটিতে চলে লুটপাট। রাত ১০ টার দিকে কারখানার ভবনগুলোয় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গাজী টায়ারস গাজী গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন। শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর রবিবার আদালতে তোলা হলে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম জানান, কারখানায় থাকা টায়ার প্রস্তুতকারক নানা ধরনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। সবশেষ ছয়তলা ভবনটির আগুন আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে নেভানো হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর কারখানার ভেতরে নিখোঁজদের সন্ধান করা হবে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিকালে কারখানা পরিদর্শন করেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান আসাদ।
তিনি বলেন, “কারখানায় আগুন লাগানোর সময় একটি গ্রুপ লুটপাট করছে, আরেকটি দল আগুন লাগিয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে লুটকরা মালামালের ভাগাভাগি নিয়েই আগুন দেওয়া হয়।
“যারা কারখানাটিতে ঢুকেছিলেন তারা লুটপাট করতেই ঢুকেছিলেন। এমনকি টয়লেটের কমোড পর্যন্ত নিয়ে গেছে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গাজী টায়ার কারখানায় আগুনের ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে দাবি করে পরিবারগুলো কারখানা ফটকের সামনে দিনভর ভীড় করে।