Beta
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

জেন জি'র বিজয়-ভাবনা

মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজা খানমের স্মৃতিতে একাত্তর

মাহফুজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী ভিপি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক এই মহাপরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, শিশু সংগঠন খেলাঘর আসরের চেয়ারপারসন। পেয়েছেন একুশে পদক পদক, রোকেয়া পদক, অনন্যা পুরস্কার।

কথা বলতে গিয়ে জানা গেল তার পারিবারিক ঐতিহ্য। ম্যাজিস্ট্রেট দাদা ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কর্মী, মাস্টারদা সূর্য সেনের শিষ্য, নাম ছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে। চাচা নেতাজী সুভাষ বসুর শিষ্য। বাবা মোস্তাফিজুর রহমান খান করেছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন। জানালেন, ঢাকায় তাদের ৩৬ নম্বর স্বামীবাগের বাড়িটিতে ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। সেখানে যেতেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমা, কবি গোলাম মোস্তফা, আহসান হাবিবসহ অনেকে।

১৯৬১ সালে ইডেন কলেজে ভর্তির পর সরাসরি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত ছিলেন ১৯৬২-এর হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে। ১৯৬৬-৬৭ সালে রাজনীতির উত্তাল সময়ে ডাকসুর ভিপির দায়িত্ব পালন করেন।

প্রথম শ্রেণিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন পদার্থবিদ্যায়। পেয়েছিলেন কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, পেয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের সাসেক্স ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়ায় যেতে পারেননি। কারণ পাসপোর্ট দেওয়া হযনি তাকে। ১৯৬৮ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে পুলিশ ভেরিভিকশনে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ পাননি।

“ফার্স্ট হয়েও চাকরি পাচ্ছি না। কোথাও না। এমননি কোনও স্কুলেও না,” বললেন মাহফুজা খানম। এরমধ্যে এল একাত্তর, শুরু হলো অন্য রকম পথচলা।

১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতে দেশজুড়ে উৎকণ্ঠা। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঢাকার পাড়ায় পাড়ায় ব্রিগেড তৈরি করা হলো। তাদের কাজ ছিল রাস্তায় রাস্তায় পালা করে পাহারা দেওয়া, হাতে থাকতো স্টিলের লাঠি আর বাঁশি। ভয় ছিল যে কোনও সময় আক্রমণ হতে পারে।

২৫ মার্চ রাতে দায়িত্ব ছিল মাহফুজা খানম আর তার স্বামী শফিক আহমেদের। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় টহল শেষ করে ঘরে ফেরেন তারা। বড় সন্তানের বয়স মাত্র পাঁচ মাস।

হঠাৎ করেই গোলাগুলি, পুরানা পল্টনের রাস্তা দিয়ে রাজারবাগে সেনা কনভয় যাওয়ার ঘরঘর শব্দ। মাহফুজা বলেন, “তখন তো বড় বড় ভবন ছিল না। বারান্দায় বের হয়ে দেখলাম আকাশ লাল, রক্তলাল। পুরানা পল্টন থেকে একেবারে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি, ততক্ষণে ইকবাল হল অ্যাটাক হয়ে গেছে, রোকেয়া হল, জগন্নাথ, সলিমুল্লাহ…এই হলগুলো অ্যাটাক করে ফেলেছে তারা। জানালার কাচগুলো ঝরঝর করে ঝড়ে পড়ছে। ছেলেকে নিয়ে খাটের নিচে সারারাত কাটালাম।”

“ভোর হলো। ২৬ মার্চ ছিল কারফিউ, বের হতে পারলাম না। ২৭ মার্চে কারফিউ তুলে নিলে আর ঘরে থাকতে পারলাম না।”

ছেলেকে স্বামীর হাতে দিয়ে এলাকার এক তরুণ রিকশাচালককে নিয়ে বের হলেন মাহফুজা।

“রাস্তায় রাস্তায় আগুন তখনোও ধিকিধিকি জ্বলছে, পোড়া মৃতদেহ…স্তব্ধ হয়ে গেলাম…বুঝতে পারছিলাম না, হোয়াট টু ডু অ্যান্ড হোয়াট নট টু ডু।”

“এখন ভাবি, সেসময় ওরকম দেখে শক্ত ছিলাম কী করে,” বলতে বলতে একটু দম নেন মাহফুজা খানম। তারপর বলেন, “এরপর ধীরে ধীরে যোগাযোগ হতে শুরু করে পার্টির (কমিউনিস্ট পার্টি) সঙ্গে, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। পার্টি থেকে ঢাকার দায়িত্ব দেওয়া হলো, সঙ্গে লেখক-সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারও থাকবেন।”

এরপর মুক্তিযুদ্ধে নামা, যাকে জীবনের আরেকটা অধ্যায় বলছেন মাহফুজা খানম।

“যারা ওদিকে (সীমানা পার হয়ে ভারতে) চলে গিয়েছিল, তারা তো অন্তত জীবন সম্পর্কে…হয়তো খাবার কষ্ট, থাকার কষ্ট…কিন্তু ঢাকাতে আমরা যারা ছিলাম, প্রতি মুহূর্তে বেঁচে রয়েছি কি না, এটা বোঝা যেত না। প্রতি রাতে নক করা হতো। আমাদের এলাকার অনেককে তুলে নিয়ে গেছে। শফিক সাহেব (শফিক আহমেদ) লিস্টে ছিলেন, আমিও লিস্টে ছিলাম।”

পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়া এড়াতে প্রায়ই নিজের বাসায় থাকতেন না মাহফুজা। এলাকার ভেতরের দিকে অন্যদের বাড়িতে চলে যেতেন।

তবে ২৫ মার্চের পর থেকেই তার বারান্দাসহ দুই কক্ষের বাড়িটিতিই মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়া শুরু হয়। কাদের নামের বাবুর্চির কথা মনে করে মাহফুজা বলেন, “সে কোনোদিন বলেনি এত মানুষের রান্না করতে পারব না। ভাত-ডাল, সঙ্গে একটা তরকারি। কেউ দুপুরে, কেউ রাতে আসত খেতে। মোমবাতির আলোয় তারা খেত। কারণ আলো দেখলেই অ্যাটাক হতো।”

মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়ানোর পাশাপাশি তথ্য আদান-প্রদানের কাজে নেমে পড়েন মাহফুজা।

“ওদিক থেকে চিঠি আসছে, সেগুলো পৌঁছে দিতে হতো এদিকে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হরলাল দাদা সাহায্য করতেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ল্যাবরেটরি থেকে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য নিতে রহমান ভাই খুব সাহায্য করেছেন, এখানে নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করতাম, নটর ডেম কলেজের ফাদাররা আমাদের সাহায্য করেছে…তখন পূর্ব পাকিস্তানে যারা ছিল, প্রত্যেকটা মানুষ ছিল মুক্তিযোদ্ধা।”

সেসময়ে এক ঘটনা স্মরণ করে মাহফুজা বলেন, “একবার সাইক্লোস্টাইল করে ইশতেহার নিয়ে হচ্ছি, কনভয় যাচ্ছে পাশ দিয়ে। নটর ডেমের কলেজের পাশ দিয়ে নালা ছিল অনেক বড়। সেখানে লাফ দিলাম, সেই পানির মধ্যে ছিলাম যতক্ষণ না কনভয়ের শব্দ শেষ হচ্ছিল। এক একটা দিন এমনও গিয়েছিল।” এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল মাহফুজার। সে অর্থ পাঠাতে হতো নানা জায়গায়। এই কাজ হতো মাহফুজা খানমের বাবা মুস্তাফিজুর রহমান খানের জিন্নাহ এভিনিউর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) বিমা অফিসে।

এসব কাজ করতে করতে সরাসরি লড়াইয়েও নেমে পড়তে হয় মাহফুজা খানমকে।

“বড় দুটো অপারেশনে আমি যুক্ত ছিলাম। টিভি টাওয়ার অপারেশনে যুক্ত ছিলাম। পায়ে বেঁধে, গায়ে বেঁধে বিস্ফোরক রেখে এসেছিলাম সেখানে। আরেকটি ছিল সেগুন বাগিচার মোড়ে ইউএসআইএস লাইব্রেরি, সেখানেও বড় একটা অপারেশন করেছিলাম।” কিন্তু এর মূল্য তাকে দিতে হয়েছে। বড় দুই ভাই ধরা পড়ল।

“আমার বাড়ি থেকেই দুই ভাইকে ধরা হলো…আমার মায়ের অবস্থা…এটা বলতে পারব না। আব্বাকে পুলিশ-আর্মিরা ঘিরে ধরে নিয়ে গেল। সবকিছু তছনছ হয়ে গেল …এগুলো বলে এখন আর লাভ নেই। আমরা যে অনেক কিছু করতে পেরেছি, তা নয়, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জানান দেওয়া…আমরা, মুক্তিযোদ্ধাা আছি…অ্যাক্টিভ আছি।”

যারা যুদ্ধে গিয়ে আহত কিংবা অসুস্থ হয়ে আসতেন, তাদেরকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেন মাহফুজা। “ঠেলা গাড়িতে করে মাথায় কাপড় দিয়ে ছাতা মাথায় কখনও বোন, কখনও স্ত্রী সেজে কাঁদতে কাঁদতে নিয়ে যেতাম…অভিনয় যে কত করেছি! হাতিরপুলে ডা. আজিজুর রহমানের ছিল পলি ক্লিনিক। সেখানে নিয়ে আহতদের চিকিৎসা করাতাম। পলি ক্লিনিক সেসময় ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছে। সেসময় যে কতবার ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে আসছি, এত বছর পরে এখন আর মনেও নেই।”

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সাক্ষীও মাহফুজা খানম।

“আমি ভীষণ ভাগ্যবান। ঢাকা ক্লাবের উল্টো দিকেই তো পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করল। ঢাকা ক্লাবের ছাদে উঠে আমি সব দেখেছি, আমি খুব গর্বিত ছিলাম সেসমসয়। নিজের চোখে সব দেখতে পাচ্ছি।”

তবে যে ত্যাগের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা, তা ধরে রাখা গেল না কেন, সেই প্রশ্নে মাহফুজা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকে অবহেলা করার জন্য যারা ছিল …জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান, আমেরিকা, চায়নাও…এদের নানামুখী তৎপরতা ছিল…যে তৎপরতার লিগ্যাসি এখন আমরা দেখছি। আমি জানি না, এই বাংলাদেশ কোথায় যাবে?”

এই সংশয়ের কালন ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বুদ্ধিজীবী হত্যা কারা করেছে? জামায়াত। তারা আজ প্রতিটি পত্রিকায় বক্তব্য দিচ্ছে। এখনকার রাজনীতিতে বড় ভুমিকা রাখছে তারা। তাহলে এই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে?

“যারা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারে নাই…জামায়াত এবং অন্য যারা ছিল, তারা তখন থেকেই দৃঢ়ভাবে অখণ্ড পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। শফিকুর রহমান (জামায়াত আমির) এখনও বলে, ‘আমরা ভুল করি নাই’। অনেক উত্থান-পতন হয়েছে দেশে। বলা হয়, স্বাধীনতা ঘোষক জিয়া (মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান)। কিন্তু জিয়া ঘোষণাপত্র পাঠ করেছে। অন বিহাফ অব শেখ মুজিব বলেছে। ২৬ মার্চ রাতে যখন তিনি গ্রেপ্তার হন, তখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। এই যে বঙ্গবন্ধুকে নেগলেক্ট করা, তার সমকক্ষ তৈরি করা, ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হলো…”

এই দায় আওয়ামী লীগকেও দিচ্ছেন মাহফুজা খানম।

তিনি বলেন, “আমি যখন ডাকসুর ভিপি, তখন শেখ হাসিনা (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী) মিছিলে আমার পেছনে হাঁটা মেয়ে। অনেক পথ গেছে আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এক ধরনের ভিশন ছিল। যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো…রায় হলো, রায়ের বাস্তবায়ন হলো। কিন্তু এরপর থেকে আওয়ামী লীগের পথ পরিবর্তন হলো। কেন ডানপন্থিদের সঙ্গে তাদের এত সখ্য তৈরি হলো? যেখানে সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে এত সখ্য! কত কত মসজিদ হলো।

“মাদ্রাসা শিক্ষায় সিলেবাস কী আমরা জানি না, কী পরীক্ষা, কী ফল-জানি না। অথচ মাস্টার্সের সমতূল্য করা হলো। সরকারি কর্ম কমিশনসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করে তারা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় আসছে।” শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদের কথা তুলে ধরে শিক্ষায় একুশে পদক পাওয়া মাহফুজা খানম বলেন, “এত হিযবুত তাহরীর কোথা থেকে এল? জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ শিক্ষা, কিন্তু সেটা করা হয়নি।

“পাঁচ আগস্টের পর থেকে আবার প্রতিটি জায়গায় ধর্মভিত্তিক দলের মানুষদের বসানো হচ্ছে। যার মগজে, মননে বিশ্বাসে একটা জায়গার চিন্তা-এটা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে যায় না, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যায় না।”

আওয়ামী লীগ সরকারে স্বামী শফিক আহমেদের আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “শফিক সাহেবের ইচ্ছা ছিল না মন্ত্রী হওয়ার। প্রথমে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা তাকে ডেকে নিয়ে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর আইনজীবীসহ অন্যদের ইচ্ছার কাছে তাকে (শফিক আহমেদ) হার মানতে হয় ।”

মন্ত্রী হলেও বাড়তি কোনও সুবিধা শফিক আহমেদ নেননি দাবি করে মাহফুজা বলেন, “মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দিনই দুপুরবেলা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল থেকে খাবার নিয়ে আসল। কিন্তু শফিক আহমেদ সে খাবার প্রত্যাখ্যান করেন; জানান যে বাড়ির থেকে আনা রুটি আর ভাজি খাবেন। পুরো পাঁচ বছর তিনি বাড়ি থেকে নেওয়া রুটি আর ভাজি খেয়েছেন সচিবালয়ে বসে।

“মন্ত্রী হওয়ার পর তার পতাকাওয়ালা গাড়িতে আমার ছেলেরা কেউ ওঠেনি। আমরা কেউ কখনও তার গাড়িতে উঠতে পারিনি। এটা একদম রেস্ট্রিকটেড ছিল।”

তার বিপরীতে মন্ত্রী-এমপিরদের অর্থ-বিত্তের পাহাড়ের খবরের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করে মাহফুজা খানম বলেন, “এখন শুনি মন্ত্রী, এমপিদের হাজার হাজার কোটি টাকা, বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কতকিছু। এটা তো আমি মানতে পারি না, মেলাতে পারি না কোনোভাবেই।”

“এখন আমার ৭৯ বছর চলছে। আমার ৬০ দশক পুরোটা গিয়েছে রাস্তায়, এমনকি কিছুদিন আগ পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু এই বাংলাদেশ চাইনি আমি, আমরা,” বলেন মাহফুজা খানম।

সাক্ষাৎকার : জাকিয়া আহমেদ, অনিক রায়, মেরিনা মিতু | প্রচ্ছদ : মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু