তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে নৃশংস হামলা, ভাঙচুর, ডাকাতি ও লুটতরাজ। সেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার লাকসামে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যের দোকানে।
লাকসাম বাজারে মঙ্গলবার বিপ্লবের জুতার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা সাটার ভেঙে দোকানে ঢোকেন। এরপর দোকান থেকে সব মালামাল ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যান।
প্রাণ ভয়ে বিপ্লবের ভাই ও মা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল সন্ধ্যাকে দুঃখ করে বিপ্লব বলছিলেন, “আমাকে অনেকে অনেক সময় রাজনীতি করতে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি না করেছি। আমি খেলা ছেড়ে কোচ হয়েছি। ভবিষ্যতের ফুটবলার তৈরি করেছি। কিন্তু আমার দোকানে হামলা হবে এটা আমি বিশ্বাস করতে পারিনি।”
ঢাকায় অবস্থানরত বিপ্লব নিজেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, “স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আমিও পালিয়ে বেড়াচ্ছি। একটা দুঃসহ জীবন পার করছি। এই দেশে আমি আর কিভাবে থাকবো?”
১৯৯৪ সালে আবাহনীর জার্সিতে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু বিপ্লবের। এরপর খেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মোহামেডান, আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা, শেখ রাসেলের হয়ে। সর্বশেষ ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে মাত্র ১ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর নেন ফুটবল থেকে। জাতীয় দলে বিপ্লব খেলেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত।
বিপ্লবের সবচেয়ে বড় পরিচয়-১৯৯৯ সালে এসএ গেমসে ফুটবলে সোনাজয়ী দলের অন্যতম কারিগর। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলে তার আরেকটি রেকর্ড- বিপ্লবই একমাত্র ফুটবলার যিনি সবচেয়ে বেশি ৮টি সাফে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যে রেকর্ড দক্ষিণ এশিয়ার কোনও ফুটবলারেরই নেই।