গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লুটুল রবিবার গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. কামরুল হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পর লুটুল ভূঁইয়াকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজন এজাহারভুক্ত ও একজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লুটুল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আদালত তাকে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিনের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি রবিবার হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়ও নির্বাচন হয়। নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা হয় ১৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে। সেখানে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও জয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অসিকুর ভূঁইয়া নামে এক যুবক নিহত হন গুলিবিদ্ধ হয়ে।
ঘটনার প্রতিবাদে দুই দিন ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। তারা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলে।
আসিকুর নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ মে রাতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লুটুলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন তার বোন পারুল বেগম। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৪০-৫০ জনকে।
গোপালগঞ্জের আলোচিত এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ (এপিএস-২) এর পদ হারান লিকু।