Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার দেয়ালে দেয়ালে নতুন বাংলাদেশ

8
[publishpress_authors_box]

কুমিল্লার দেয়ালে দেয়ালে স্লোগান লিখেছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশের মানচিত্র ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার ছবিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রংতুলিতে।

কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালগুলোতেই শোভা পাচ্ছে ব্যতিক্রমী এ শিল্পকর্ম। শৈল্পিক আঁকিবুকিতে ‍ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নতুন বাংলাদেশের চিত্র। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন এবং প্রতিবাদী গর্জনকে উচ্চকিত করা হয়েছে। বাদ যায়নি মুগ্ধ’র “পানি লাগবে, পানি” বলার সেই হৃদয় নিংড়ানো ডাক। তীব্র ঘৃণায় আঁকা হয়েছে ০৩ আগস্ট কুমিল্লা লাইনে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত সেই বাড়ির চিত্র। এর এক পাশে লেখা হয়েছে, আঙ্কেল গেইটটা খুলবেন?

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা নগরীর জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মডার্ন স্কুল, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখা, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়, আইডিয়াল কলেজ, রূপসী বাংলা কলেজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের দেয়ালসহ অলিগলির দেয়ালগুলোতেও প্রতিবাদী স্লোগান এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান সম্বলিত চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। এমনকি অনেক পুরনো ও জীর্ণ দেয়াল ঘষে নতুন রঙ লাগিয়ে করা দৃশ্যকাব্য আলোকিত করছে পুরো এলাকা।জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন এ কাজে। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, “এবারের আন্দোলনে ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় সন্ত্রাসী ও ‍পুলিশ বাহিনীর গুলি উপেক্ষা করে আমরা ছিলাম রাজপথে। সেসব দিনগুলো স্মরণীয় করে রাখতেই গ্রাফিতি অঙ্কন করেছেন আমাদের শিক্ষার্থীরা। অবশ্য সন্তানদের উৎসাহিত করতে তাদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন অনেক অভিভাবক।”

রানির দিঘিরপাড়ে সন্তানের দেয়াল অঙ্কনের দৃশ্য দেখিয়ে অভিভাবক সামান্তা ইসলাম বলেন, “আন্দোলনের শুরুতে সন্তানদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাধা দিয়েছিলাম।পরবর্তীতে রক্তাক্ত জনপদ দেখে বিবেককে দমিয়ে রাখতে পারিনি। তাই প্রতিদিন সন্তানদের নিয়ে আন্দোলনের মাঠে ছিলাম। বিজয়ের পর তার সৃজনশীল কাজেও উৎসাহ দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস এতে প্রতিটি সন্তান দেশপ্রেমে উজ্জীবীত হবে।”

ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, “রংপুরে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে জীবন দেয়া শহীদ আবু সাঈদে কথা আমরা ভুলতে পারিনি। তাই আমাদের ক্যাম্পাসের দেয়ালজুড়ে তার ছবি আঁকা হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত