Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে সড়ক-নৌপথ অবরোধের ডাক ইউপিডিএফের

বান্দরবানে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
বান্দরবানে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বান্দরবানে কেএনএফবিরোধী যৌথ অভিযানে ‘নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার, আটক ও হয়রানি’র প্রতিবাদে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ে ‘বাধা-নিষেধ’ প্রত্যাহার দাবিতে রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট।

পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ আরও জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামত কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মঙ্গলবার ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট ও সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতা ও সংশ্লিষ্টদের জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস অবরোধের সিদ্ধান্ত হয়।  

বিবৃতিতে বান্দরবানে পাহাড়ি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বিরোধী ‘অভিযানের নামে নারী-শিশুসহ নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।

ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে সভায় অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, নিরীহদের হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত ‘অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে অবরোধ সফল করতে বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সব যান এবং পরিবহন মালিক, শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চলতি মাসের ২ ও ৩ তারিখ বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দুটি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য কেএনএফকে দায়ী করে আসছে।

হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত