সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৭ মার্চ হামজা চৌধুরী ঢাকা আসছেন সদলবলে। হ্যাঁ, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়েই আসছেন। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ট্রেনিং সেরে, নিজেকে মানিয়ে তিনি শিলং যাবেন ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নানা সংশয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ইংলিশ ফুটবলারের লাল-সবুজের জার্সিতে খেলা নিশ্চিত হলেও ম্যাচের আগে কি তপু-রাকিবদের সঙ্গে তিনি ট্রেনিং ক্যাম্প করতে পারবেন? প্র্যাকটিসে কি তাকে পাবেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা? তার ক্লাব দল শেফিল্ড ইউনাইটেড কি তাকে আগেভাগে ছাড়বে বাংলাদেশ দলের জন্য?
সব প্রশ্ন ও জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হামজা বাংলাদেশে আসার দিন-তারিখ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সতীর্থদের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নেওয়ারও সুযোগ পাবেন এবং কাবরেরার অধীনে ট্রেনিংও করতে পারবেন।
বাফুফের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছে, আগামী ১৭ মার্চ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার ঢাকা আসবেন তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচের অধীনে দলের সঙ্গে ট্রেনিংও করবেন এবং এরপর শিলংয়ে গিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবেন।
হামজার ১৭ মার্চ আসার কারণ হচ্ছে, ওইদিন থেকে শুরু হচ্ছে ফিফার ৯ দিনের আন্তর্জাতিক উইন্ডো। তাই ক্লাব ফুটবলও বন্ধ থাকবে এই সময়। ১৬ মার্চ শেফিল্ড ওয়েনেজডে’র বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে পরদিন ঢাকার বিমান ধরবেন তিনি। এরপর ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও লম্বা বিরতি থাকবে। ২৯ মার্চ তাদের পরের ম্যাচ কভেন্ট্রির সঙ্গে। তাই হামজার বাংলাদেশ দলের ট্রেনিংয়ে যোগ দিতে কোনও বাধা নেই। তবে এসেই তিনি নানার বাড়ি হবিগঞ্জ যাবেন আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে। ওখান থেকে ফিরে ১৮ মার্চ দলের সঙ্গে ট্রেনিং শুরু করবেন এবং শিলংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেবেন।
মেঘালয়ের এই শহরে তার সঙ্গে যাবেন ১৫-১৬ জন আত্মীয়-স্বজনের বিশাল বহরও। তারাও মাঠে উপস্থিত থেকে ২৫ মার্চ হামজার অভিষেক ম্যাচের সাক্ষী হবেন। আর ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটার ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভবিষ্যৎ।