বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফল বাতিল করে কেন নতুন নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
সমাজ কল্যাণ সচিব, তথ্য সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন হয়। এতে মাহমুদ কলিকে হারিয়ে মিশা সওদাগর সভাপতি এবং নাসরিন আক্তার ওরফে নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সেই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১৫ মে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ।
রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন শাহ মঞ্জুরুল হক, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়।
পরে পলাশ চন্দ্র রায় সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আদালত আমাদের রিটের শুনানি নিয়ে এই নির্বাচনের ফল বাতিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং নতুন করে কেন নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
তিনি জানান, এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, “রিট আবেদনকারী নিপুণসহ আরও কয়েকজন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যেখানে বলা হয় ডিপজল সাহেবসহ কয়েকজনের পক্ষে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এতে ভোটাররা প্রভাবিত হচ্ছে।
“নির্বাচন কমিশন সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করেই ফল ঘোষণা করেছেন। এছাড়া ভোটের সময় দেখা গেছে– অনেক ভোটার উপস্থিত ছিলেন না। ভোটে জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে আদেশসহ রুল জারি করেছেন।”