গাছ লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন না করাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক বনায়নের নামে কুষ্টিয়ায় ২০ কিলোমিটার জায়গায় ১০ বছর আগে গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। তার প্রেক্ষিতে সেখানে কোনও গাছ লাগানো হয়নি। এমনকি এ বছরও সেখান থেকে ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই আইনজীবী বলেন, “এ নিয়ে একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রতিক্রিয়া হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আমরা রিট দায়ের করি।
“শুনানিতে আমরা বলেছি, আমাদের দেশে গাছ কাটা এবং লাগানো নিয়ে কোনও নীতিমালা নাই। অথচ ফিনল্যান্ডে দেখি একটি গাছ কেউ কাটলে সেখানে তার পরিবর্তে তিনটি গাছ লাগাতে হয়। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।”
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। ১০ বছর আগে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে বনবিভাগ।
এসব গাছের দশ বছর পূর্ণ হওয়ায় প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য উপজেলা পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সুপারিশ ও জেলা পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির অনুমোদনক্রমে গত ৩ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করে বন বিভাগ। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জনপ্রতিনিধিসহ জনসাধারণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পরে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।