Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

হেবা দলিলে খরচ বাড়ছে

ss-deed-copy-2024
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

একজন মুসলমান অন্য আরেক মুসলমানকে কোনও কিছুর বিনিময় ছাড়াই যদি সম্পত্তি হস্তান্তর করেন, তাহলে এই পদ্ধতিকে বলা হয় হেবা। সাধারণত, পরিবারগুলোয় বয়স্ক সদস্য বা অভিভাবকরা তাদের স্থাবর সম্পত্তি এই প্রক্রিয়ায় দান করে থাকেন।

আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, কোনও দলিলের মাধ্যমে যদি ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান, দাদা-দাদী, নানা-নানী ও নাতী-নাতনী, ভাই-বোনদের মধ্যে কোনও অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময় ছাড়াই কোনও স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয় তবে তা হেবার অন্তর্ভূক্ত।  

বর্তমানে হেবার ঘোষণাপত্র দলিল নিবন্ধনের ফি ১০০ টাকা, স্ট্যাম্প শুল্ক এক হাজার টাকা এবং ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামা মুদ্রণ করে দলিলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। আরও বেশ কয়েক ধরনের ফি রয়েছে এই দলিল নিবন্ধনে।

তবে এতদিন দেশে হেবা ঘোষণাপত্র দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উৎসে কর দিতে হতো না।

এবারের বাজেটে নিবন্ধন আইন-১৯০৮ এর আওতায় হেবা ঘোষণাপত্র দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উৎসে কর প্রযোজ্যতার বিধান করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এক্ষেত্রে কেবল মুসলমানরাই নন, অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি দানের ক্ষেত্রেও উৎসে কর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে নিবন্ধন আইনের আওতায় তিন ধরনের হেবা ঘোষণা দলিল হস্তান্তরের তিনটি ক্ষেত্রে উৎসে করের বিধান প্রযোজ্য করার প্রস্তাব দেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যমান নিবন্ধন আইন ১৯০৮ এর ১৭ ধারার উপধারা ১ এর বিধি খ, গ এবং ঙ-এর পাশাপাশি বিধি ক, কক এবং ককক এর অধীন দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উৎসে কর প্রযোজ্যতার বিধান করার প্রস্তাব করছি।”

অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রভাব ক্রমাগত কমিয়ে দেশে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিকে বিকাশের ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি, অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ, করজাল সম্প্রসারণ এবং কর পরিপালন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

এই নীতি পরিপালন হিসেবে রাজস্ব আদায়ের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে তিন ধরনের দলিল হস্তান্তরের ওপর উৎসে করের প্রস্তাব করেন তিনি।

আলোচ্য আইনের ১৭ নম্বর ধারার এক ‍উপধারা অনুযায়ী বেশ কয়েক ধরনের দলিলপত্র নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ উপধারায় বলা আছে, স্থাবর সম্পত্তির দান সংক্রান্ত দলিল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

‘কক’ উপধারা অনুযায়ী মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইনের (শরিয়াহ) অধীন হেবার ঘোষণা দলিল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং ‘ককক’ উপধারায় হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ব্যক্তিগত আইনের অধীন দানের ঘোষণা দলিল নিবন্ধনের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত