Beta
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪

এনবিআরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এস আলমের আবেদনে হাইকোর্টের রুল

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

তিন হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের আপত্তি আবেদন না শুনে এনবিআরের গৃহীত সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

এস আলম গ্রুপের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি সর্দার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেয়।

রুল শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিনও ঠিক করে দিয়েছে আদালত।

শুনানিতে এস আলমের পক্ষে থাকার আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আপত্তির আবেদন না শুনে এনবিআরের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

“একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে কেন পুনঃশুনানির জন্য পাঠানো হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে একটি সংবাদপত্রে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাট ফাঁকি এবং এর জরিমানাসহ এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের কাছে সরকারের পাওনা ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এনবিআরের ভ্যাট শাখার একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যাট রিটার্নে কম ক্রয়-বিক্রয় দেখানোসহ বিভিন্ন উপায়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোম্পানি দুটি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানি দুটি ৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট ‘ফাঁকি’ দিয়েছে, যার জন্য তাদের আরও ৩ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

এস আলমের আইনজীবী আহসানুল বলেন, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার কার্যালয় থেকে এস আলম গ্রুপের ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ দিয়ে অনাদায়ে ভ্যাট দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানি দুটি সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাট অফিসে গিয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রার্থনা করে। এরপর গত ১৮ মার্চ আংশিক জবাবও দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, যাবতীয় ডকুমেন্টসসহ সবকিছু দাখিল করা হবে।

কিন্তু ভ্যাট কর্তৃপক্ষ গত ১৭ এপ্রিল আপত্তির শুনানির দিন ৫ জুন ঠিক করে দিয়েছিল জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, “ওই দিন সিনিয়র আইনজীবী ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে পারেনি উল্লেখ করে সময় চাওয়া হয়। কিন্তু ভ্যাট কমিশন সেই আবেদন খারিজও করল না, গ্রহণও করল না।”

কর ফাঁকির নোটিস দেওয়া হলে করদাতাকে ব্যক্তিগতভাবে শুনানির সুযোগ দিতে হবে- এই বিধান তুলে ধরে আহসানুল বলেন, “কিন্তু কমিশন এই বিধানটিকে উপেক্ষা করে সময়ও দিলেন না, খারিজও করলেন না। তিনি মনমতো একটা আদেশ দিয়ে দিলেন। এটি চ্যালেঞ্জ করেই আমরা হাইকোর্টে আসি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত