৫০ ওভারে চারশো রান, তাও মিরপুরের পিচে! এতদিন বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটপ্রেমীকে এই কথা বিশ্বাস করানোই যেতো না। অথচ শনিবার সেই ঘটনাই ঘটলো মিরপুরে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা প্রাইম ব্যাংক ৮ উইকেটে করেছে ৪২২ রান। নাঈম শেখের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিশ্বংসী ইনিংস।
বাংলাদেশের মাটিতে লিস্ট “এ” ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান এটি। এর আগে ২০২২ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ৪০৯ রান করেছিল।
বাংলাদেশের কোনো দলের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি ছিল আবাহনীর। ২০১৮ সালের মার্চে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করেছিল দেশের ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি।
প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংক দুবার চারশর কাছাকাছি যায়। ২০২২ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে এনামুল হকের ১৮৪ রানে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রান করেছিল তারা। গত বছর ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩৮০ রানও দলটির অর্জন। তবে মিরপুরের মাঠে এই প্রথম এত রান হলো।
নাঈম শেখ বিধ্বংসী ইনিংসে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। সাব্বির হোসেনকে নিয়ে ৭৩ রান করা সাব্বির হোসেনকে নিয়ে প্রথম জুটিতেই ১৪০ রান যোগ করেন। পৌনে দুইশ ছুঁয়ে বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ের পর সাজ্জাদুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঝড়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
নাঈম ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে মাত্র ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ১৮ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।৩৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও এগিয়ে যান। ক্যারিয়ারের নবম লিস্ট “এ” সেঞ্চুরি করতে তার লাগে ৮২ বল। পরে মাত্র ২৪ বলে একশ থেকে দেড়শ রানে পৌঁছে যান ২৫ বছর বয়সী ওপেনার।
নাঈমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৩৭ ওভারে তিনশ করে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। পরের ওভারে নাঈম আউট হলে শেষদিকে সাজ্জাদুল হক রিপন ও আবদুল্লাহ আল মামুন ব্রাদার্স বোলারদের ওপর ঝড় চালান।
ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৫২ বলে ৮৪ রানের জুটি। দলকে চারশর খুব কাছে রেখে আউট হন ৩টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান করা মামুন। অপরাজিত ইনিংসে ৩৭ বলে ৫০ রান করেন সাজ্জাদুল। ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।