দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করে তা সংস্কারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এখন আর কোনও বাধা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এ সংক্রান্ত বিধি না থাকায় এতদিন যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, বিশেষ এক নীতিমালা প্রণয়নের ফলে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
রবিবার ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতিমালা ২০২৪’ শীর্ষক নীতিমালাটি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক খাতের সংস্কার সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী, এই নীতিমালা প্রণয়নের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সম্পদের গুণগতমান, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, আইন-কানুন পরিপালনসংক্রান্ত বহুমুখি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে কিছু সংখ্যক ব্যাংক আস্থার সংকটে ভুগছে, ব্যাংকগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর ৭ ‘ক’ (চ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যাংক খাতের মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে ঝুঁকি সম্পর্কিত মূল্যায়ন করার মধ্যে দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, ব্যাংক খাতের যথাযথ তদারকি ও নজরদারীর জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি মূল্যয়ন প্রতিবেদন তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর ৮২ (১) এবং ৮২ (২) ‘ঢ’ এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ওই বিশেষ নীতিমালা অনুমোদন করে।
এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো ব্যাংকের ঝুঁকিবাহিত সম্পদ বা এ সংক্রান্ত কোনও মূল্যায়নের প্রয়োজন হলে স্বীকৃত কোনও আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করাতে পারবে।
এ বিষয়ে ব্যাংক খাত সংস্কার সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পরিচালক মোহাম্মদ জহির হুসাইন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের মূল্যায়নের জন্য স্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারে এ সংক্রান্ত কোনও বিধি বা নির্দেশনা ছিল না।
“এ কারণে টাস্কফোর্সের সুপারিশ ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের আওতায় একটি বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করা। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদেরও অনুমোদনের দরকার ছিল। যে অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।”