বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর পর উত্তপ্ত হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “ইসকন ইস্যুতে দেশি বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে। দেশে দু-একটি দল রয়েছে যাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এখানে তাদেরও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।”
মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে প্রচারে আসেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) মুখপাত্র ছিলেন তিনি।
সেই বিক্ষোভের সময় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটিতে আসামি করা হয় তাকে। প্রায় এক মাস পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
সনাতনী সাধু চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় বিক্ষোভে নামে হিন্দু সম্প্রদায়। বিক্ষোভ হয় চট্টগ্রামেও, একসময় যা গড়ায় সংঘর্ষে।
এর আগে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এখন মিথ্যা মামলা বেড়ে গেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কোনও অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেওয়া যাবে না। কেউ যদি করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে চাঁদাবাজিকে দায়ী জানিয়ে তিনি শক্ত হাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সম্প্রতি পুলিশে নিয়োগ স্বচ্ছ হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। মব জাস্টিস বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনি প্রক্রিয়ায় বের হয়ে আবার অপকর্মে জড়ালে তাদের আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবাই মিলে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। যাদের কাছেই অপরাধের তথ্য থাকবে, তা দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করবেন।”