সেসময় দুঃসাহসিক পটভূমিতে সিনেমা নির্মাণের এক নতুন যুগ শুরু হলো। ১৯৬৯ সালে মুক্তির ঠিক আগে আগে সিনেমার পরিচালক ডেনিস হপারের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল বিবিসি; যিনি সিনেমার মুখ্য চরিত্রও ছিলেন।
১৯৬৯ সালের ১৭ অক্টোবরে মুক্তি পেতেই ‘ইজি রাইডার’ বড় পর্দায় সাইকেডিলিক মানে এক ভয়ানক ঘোর ছড়িয়ে দেয়।
রক মিউজিক, প্রেমের উন্মাদনা এবং নেশায় বুঁদ জীবন নিয়ে কম বাজেটের এই সিনেমা ৬০-এর দশকের প্রচলিত সামাজিক নীতি বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক অস্থিরতাকে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছিল।
দুজন ছন্নছাড়া বাইকারের গল্প ছিল এই সিনেমায়। পরিচালক নিজেই ছিলেন মোচওয়ালা হিপ্পি বিলি চরিত্রে। আর লেদার জ্যাকেট পরা ওয়াইয়াট চরিত্রে ছিলেন প্রযোজক পিটার ফন্ডা।
সিনেমায় দেখা যায়, অ্যাঞ্জেলেসের এক মাদক বিক্রেতার কাছে কোকেন পাচার হচ্ছে। মাদক বিক্রেতার অভিনয় করেছিলেন সংগীত পরিচালক ফিল স্পেক্টর।
২০০৩ সালে স্পেক্টরের বেভারলি হিলসের বাসায় ৪০ বছর বয়সী অভিনেত্রী এবং মডেল লানা ক্লার্কসনকে গুলিবিদ্ধ ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্পেক্টর এই ঘটনাকে আত্মহত্যা দাবি করলেও ২০০৯ সালে আদালতের রায়ে একে হত্যাকাণ্ড বলা হয়। দোষী স্পেক্টরকে ১৯ বছরের সাজা দেয়া হয়।
এই ঘটনার জানার পর ‘ইজি রাইডার’ দেখতে বসলে তাতে ফিল স্পেক্টরের অভিনয় আরও দানবীয় মনে হবে।
সিনেমায় দুই নায়ক অনেক টাকা-পয়সার মালিক হয়ে ওঠে। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় মোটরবাইকে করে গোটা যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেখে শেষে ঐতিহ্যবাহী ‘মার্ডি গ্রা’ উৎসবের সময় নিউ অরলিয়েন্সে পৌঁছাবে।
স্টিফেন উলফের ‘বর্ন টু বি ওয়াইল্ড’ বাজিয়ে বাইকে চড়ে আমেরিকার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ছুটে চলে তারা। পথে তাদের দেখা হয় প্রথার বিপরীতে চলা হরেক চরিত্রের সঙ্গে। এরমধ্যে একজন হলেন মদ্যপ মানবাধিকার আইনজীবী; যে চরিত্রে ছিলেন জ্যাক নিকলসন। এরপর আসে দুর্নীতিগ্রস্ত এক শেরিফ, এক দল হিপ্পি এবং এক ছোট শহরের অসহিষ্ণু লোকজনের সঙ্গে।
সিনেমার নির্মাতারা চেয়েছিলেন, সামাজিক পরিবর্তনের সময় দেশের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে।
এই সিনেমার পোস্টারে লেখা ছিল, “এক লোক আমেরিকার খোঁজে বেরিয়েছিল। কিন্তু কোথাও আর আমেরিকা খুঁজে পেলো না…।”
সিনেমা মুক্তির মাস খানেক আগে বিবিসির লাইন আপ অনুষ্ঠানের ফিলিপ জেনকিনসনের সঙ্গে বসেছিলেন পরিচালক ডেনিস হপার। সিনেমায় বিলি চরিত্রের পোশাকেই সাক্ষাৎকার দিতে বসেছিলেন তিনি।
এই সাক্ষাৎকার কখনও দুর্দান্ত, কখনও অবিশ্বাস্য, আবারও কখনও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিল; ঠিক যেন ‘ইজি রাইডার’ সিনেমার মতই।
হপার বলছিলেন, “আমেরিকায় কী ঘটছিল তখন তাই বলতে চেয়েছিলাম সিনেমায়।”
৬০ -এর দশক আমেরিকার জন্য ছিল অশান্ত এক সময়। আমেরিকার সংস্কৃতিতে দ্রুত পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছিল। ওই দশকে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক আন্দোলন হয়ে গেল। ভিয়েতনাম যুদ্ধ দানা বাঁধার বিপরীতে এখানে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভও বাড়ছিল। এরমধ্যে সবাইকে স্তম্ভিত করে জন এফ কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ড ঘটে যায়।
প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বেশ প্রকট হয়ে উঠেছিল সেসময়। বেবি বুমারস প্রজন্ম নতুন ধরনের গান ও সংস্কৃতিমুখী হয়। সেই সঙ্গে মাদক ও যৌনতায় বুঁদ হয়ে থাকত তারা। পরিবারের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য এবং ভোগবাদী চর্চা প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা।
হপার বলেন, তরুণদের কথা সরাসরি বলার মতো কোনো সিনেমা দেখেননি তিনি তখন। তাদের প্রত্যাশা ও ভয়ের কথাও ছিল কোথাও। কেউ বলেনি, তারা কীভাবে জীবন যাপন করতে চায়? তাদের এসব ভাবনা কীভাবে আমেরিকার সমাজে বিভেদ রেখা স্পষ্ট করছিল তাও উঠে আসছিল না সিনেমায়।
“আমি এমন কোনো সিনেমা পাইনি যেখানে সমাজের চলমান ঘটনা নিয়ে কথা এসেছে।”
“হ্যা, আমেরিকার সিভিল ওয়্যার নিয়ে সিনেমা হয়, দাসপ্রথা নিয়েও সিনেমা হয়। নির্মাতারা কোরিয়ার যুদ্ধ নিয়েও সিনেমা করে। কিন্তু আমি তো এমন কিছু খুঁজছি যা ওই সময় ঘটছে। খুব কম নির্মাতাই এগিয়ে এসে এমন সিনেমা বানাতে চায়; বিশেষ করে হলিউডে।”
পটভূমির প্রেক্ষিতে ‘ইজি রাইডার’ শুধু প্রথাবিরুদ্ধ সিনেমা ছিল তা নয়, নির্মাণের কারণেও এই সিনেমা আলাদা ছিল। কলম্বিয়া পিকচার্স থেকে এই সিনেমার বাজেট করা হয় চার লাখ ডলার। এর বাইরে প্রযোজক পিটার ফন্ডা নিজের পকেট থেকেও অর্থ খরচা করেছিলেন।
হাইওয়ে অর্থাৎ রাস্তা এই সিনেমায় শক্তিশালী প্রতীক হয়ে দেখা দেয়। বিলি এবং ওয়াইয়াট শেষ না হওয়া পথে চলছে তো চলছেই; হপার এমন ভাবে দৃশ্য নিয়েছেন সিনেমায়। আর এ ধরনের কাজ সাধারণত রেডিও ও ক্যামেরা ট্রাক ভাড়া নিয়ে করা হয়। যদিও ’ইজি রাইডার’ নির্মাতারা তখন ১৯৬৮ মডেলের শেভ্রোলেট ইমপালা কনভার্টিবল কিনেছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, সিনেমার কাজ শেষ হলে এই গাড়ি বেচে দেবেন; তাতে হাতে কিছু পয়সা আসবে।
সিনেমাটোগ্রাফার লাজলো কোভাকস প্লাইউড ও বালির বস্তা বসিয়ে তাতে ক্যামেরা দাঁড় করিয়েছিলেন। তারপর পেছনের আসনে বসে সামনে ফন্ডা ও হপারকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। সময় সময় হাত নেড়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। পর্দায় দেখা গেল হার্লি-ডেভিডসন মোটরবাইকে বসে ফন্ডা ও হপার খোলা রাস্তায় ছুটে চলেছে।
সেট বানিয়ে শুটিং না করে নির্মাতা আসল স্থানে চলে যেতেন। এভাবে সেট বানানোর খরচ বাঁচাতেন তারা। দিনের আলোতে হাতে ক্যামেরা ধরে শুটিং করেছিলেন তারা; ফলে কৃত্রিমতা এড়ানো আমেজ এসেছিল পর্দায়।
‘মেগালোম্যানিয়াক’ হপার
এতো বিকল্প পথ ধরার পরও সিনেমা কাজ এগিয়ে নেয়া সহজ কাজ ছিল না। হপারের অস্থিরচিত্ত আচরণ ছিল এর বড় কারণ।
সিনেপাড়ার পরিচালকদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধানোর কারণে হলিউডে তার নাম নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা হতো প্রায়ই। বিবিসির কাছে এ কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন হপার।
“আমি তখনই কারো নির্দেশনা মানতাম যখন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জাগত। তা না হলে কাজ করতাম না। “
কিন্তু এরপর হপার নিজেই পরিচালক হয়ে সিনেমার সব কাজে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে শুরু করলেন।
একবার তো রেকর্ড করা ফুটেজ দিচ্ছিল না বলে ক্যামেরা অপারেটর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে গেলেন।
এটিই শেষ কীর্তি ছিল না হপারের।
জ্যাক নিকলসনের চরিত্রে শুরুতে কাজ করার কথা ছিল অভিনেতা রিপ টর্নের। শুটিং শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর হপারেরর সঙ্গে ঝগড়া করে সেট ছেড়ে চলে যান তিনি।
১৯৯৪ সালে হপারের নামে মানহানির মামলা করেন টর্ন। যদি হপার বলেছিলন, তাকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে ছুরি বার করেছিলেন টর্ন।
অথচ ঘটনা ছিল এই বক্তব্যের একেবারেই উল্টো।
সাক্ষাৎকারে জেনকিনসনের কাছে হপার নিজের দোষ নিয়ে বলেছিলেন, তার সঙ্গে কাজ করা একেবারেই সহজ ছিল না।
এ নিয়ে প্রযোজক পিটার ফন্ডা আরো খোলাখুলি বলেছিল বিবিসির উইল গমপার্টজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে।
২০১৪ সালে ফন্ডা বলেছিলেন, “হপার আচরণে অনেকখানি মেগালোম্যানিয়াক ছিল।”
শেষ পর্যন্ত হপার নিজের কাজ ও লক্ষ্য নিয়ে মনোযোগী হয়ে ওঠে।
মেথড অ্যাকটিংয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা বিবিসিকে বলেন তিনি। একই সঙ্গে একগুয়ে আচরণ এড়িয়ে কীভাবে দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে নেয়া যায় তাও ছিল হপারের নেয়া প্রশিক্ষণে।
জেমস ডিনের সঙ্গে ১৯৫৫ সালের ‘রেবেল উইদাউট এ কজ’ এবং ১৯৫৬ সালের জায়ান্ট সিনেমায় কাজ করেছিলেন হপার। তখন ডিন তাকে বলেছিলেন, “ধূমপানের অভিনয় করো না; ধূমপান করো।”
এই পরামর্শ মনের মধ্যে গেঁথে নিয়েছিলেন হপার। আর তাই ইজি রাইডার সিনেমায় অভিনয়কে আরও বাস্তব দেখাতে হপার, ফন্ডা এবং নিকলসন পরিমিত পরিমাণে মাদক নিতেন।
১৯৭০ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে নিজের চরিত্র জর্জ নিয়ে জ্যাক নিকলসন বলেছিলেন, সিনেমায় দুই বাইকার যখন মারিজুয়ানার (গাঁজা) সঙ্গে জর্জের পরিচয় করিয়ে দেয়, ওই দৃশ্যটি কয়েকবার ধারণ করতে হয়েছিল। আর তাতে ১৫৫ বার ধূমপান করা হয় নিকলসনের।
‘হেইস কোড’ বা ‘ডেট্রয়েড কোড’ ছিল হলিউডের জন্য বিধিমালা; যেখানে সিনেমায় অশ্লীলতা ও সহিংসতা সীমিত করার কথা বলা ছিল। নিষেধাজ্ঞা ছিল যৌনতা, নগ্নতা, অশ্লীল ভাষা এবং মাদক নিয়েও। ১৯৬৮ সালে বাতিল হয়ে যায় এই হেইস কোড। চালু হয় মুভি পিকচার অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা (এমপিএএ) রেটিং সিস্টেম। এতে সিনেমার বিষয়বস্তু, ভাষা, দৃশ্যায়নের ভিত্তিতে দর্শকের বয়স নির্ধারণ করে রেটিং বসানো শুরু হয়।
হেইস কোড বাতিল হওয়ার সেই স্বাধীনতার পুরো ব্যবহার করেছিল ‘ইজি রাইডার’ নির্মাতারা। মাদক নেয়ার খোলামেলা দৃশ্যায়ন মুক্তির পর সিনেমাটিকে আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।
হপার অবশ্য এসব দৃশ্যের সাফাই গেয়ে বিবিসিকে বলেছিলেন, “ওই দুই আমেরিকান তরুণের জন্য ধূমপান না করাটাই তো অবাস্তব হতো।”
এমনকি সিনেমার প্রধান দুই তরুণ চরিত্রের কোকেন পাচারে জড়িয়ে পড়া পুঁজিবাদী পথে অর্থ উপার্জনের তুলনায় কোনোভাবে অনৈতিক নয়, এমন যুক্তিও দেন তিনি।
“হয়তো আমরা সবাই এক রকম বা ভিন্ন ভিন্ন পথে অপরাধমূলক কাজ করে চলেছি।”
’ইজি রাইডার’ বাইকারদের নায়কোচিত বা মহৎ কেউ দেখাতে চায়নি। বরং আমেরিকার আয়না হয়ে উঠেছিল এই সিনেমা।
“আমার তো মনে হয়, তারা তাদের নেতাদের (রাজনীতিকদের) মতই ভালো, তাই নয় কি?”
নেতারা থাকার পরও আমেরিকা গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছিল, যা তুলে ধরেছিল এই সিনেমা। পর্দায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল সে সহিংসা ও বর্বরতা দূর থেকে দেখেন তার মুখোমুখিও হতে হয় তাদের।
বিলি এবং ওয়াইওয়াটের পোশাক, প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের হতাশা, আত্ম-অন্বেষণ এবং উদ্দেশ্য বহু আমেরিকান তরুণের হৃদয়ের ধ্বনি হয়ে উঠেছিল।
ইজি রাইডার সিনেমার ‘রক এন রোল’ সাউন্ডট্র্যাক সময়ের সেই অস্থির সুরকে ধরতে পেরেছিল। জিমি হেনড্রিক্স, দ্য বার্ডস, দ্য ব্যান্ড ছিল নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায়।
ডেভিড ক্রসবি, স্টিভেন স্টিলস, গ্রাহাম ন্যাশ, নিল ইয়ং -এর কিছু গান এই সিনেমায় রাখা হয়। তবে গান ব্যবহারের অনুমতি পেতে সিনেমার জন্য বরাদ্দ বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হয়।
শুরুতে নিউ ইয়র্কের একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ’ইজি রাইডার’। কিন্তু তারপরই আমেরিকার তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে এই সিনেমা বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখও দেখে। বিশ্বব্যাপী ৬ কোটি ডলার আয় করেছিল এই সিনেমা।
পরিচালক হপার ১৯৬৯ সালের কান ফিল্ম ফেস্টিভালে জিতে নেন ফার্স্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। অভিনেতা জ্যাক নিকলসন আর ‘ইজি রাইডার’ সিনেমা অস্কারের মনোনয়ন তালিকাতেও জায়গা পায়।
কম বাজেটে নির্মিত এই সিনেমার জনপ্রিয়তায় হতবাক হয়ে গিয়েছিল হলিউড। এরপর যেন নতুন যুগের সূচনা হলো; নিরীক্ষাধর্মী সিনেমা বানাতে সামনে আনা হলো মার্টিন স্কর্সেসে, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো তরুণ পরিচালকদের। ৭০- এর দশকে এই পরিচালকরাই আমেরিকার সিনেমাকে ঢেলে সাজায়।
হপার নিজেও নিজের এই গ্রহণযোগ্যতা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ এই হলিউডই এক সময় তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
তবে এসবে একেবারে গদগদ না হয়ে হপার বলেছিলেন, “এখন তারা আপনার পিঠ চাপড়াচ্ছে, প্রসংশায় ভাসাচ্ছে, আপনাকে কাছে টেনে নিচ্ছে। যতক্ষণ আপনি তাদের কাজে লাগবেন ততক্ষণই এসব চলবে। এরপর তারা আবার আপনাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”
সূত্র: বিবিসি