Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা নেবে যেভাবে

সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট।
[publishpress_authors_box]

সর্বোচ্চ আদালতে কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের অপসারণ কীভাবে হবে, তার মীমাংসা হলো।

সংবিধান সংশোধন করে ১০ বছর আগে এই ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার; যদিও হাইকোর্ট তা বাতিল করে দিয়েছিল। পরে আপিল আবেদন হলে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে।

সেই রায় পুনর্বিবেচনায় আবেদন হলেও আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তা ঝুলে ছিল। আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেই আবেদনের রায় হলো।

রবিবার দেওয়া রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হলো। ফলে অসদাচরণের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণে সুপ্রিম জুসিডিয়াল কাউন্সিল আবার কার্যকর হলো।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়েছিল সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। বাতিল হওয়া ৯৬ অনুচ্ছেদের পুরোটাই এখন পুনর্বহাল হয়েছে।

আইনজ্ঞরা জানান, এ রায়ের পর এখন আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ন্যস্ত হয়েছে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষেত্রে গুরুতর অসদাচরণ তদন্ত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব।

একই সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ২০১৯ সালে তিন বিচারক এবং সম্প্রতি আরও ১২ বিচারকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে এ কাউন্সিলে ব্যবস্থা নেওয়ার পথ প্রসারিত হল।

রিভিউ আবেদনের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এতদিন একটা ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। না ঘরকা না, ঘাটকা। এখন একটি জায়গা এল। এরফলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল ফাংশনাল হচ্ছে। স্বাধীন বিচার বিভাগের গতি আরও বাড়ল।”

যাদের রিট আবেদনে আদালতের রায় হয়েছে, তাদের একজন মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বহাল ছিল, আছে। তারপরও রিভিউ আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

“আবেদনটি নিষ্পত্তি করে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুরোটা প্রতিস্থাপন করে দিয়েছেন। ফলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করতে আর কোনও বাধা থাকছে না।”

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৩ উপ-অনুচ্ছেদর অনুযায়ী এখন প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারককে নিয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়।

কাউন্সিলের দায়িত্ব সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের দায়িত্ব হল অসদারচণ প্রমাণিত হয়েছে, কী হয়নি, তা অনুসন্ধান করা।

“উনারা (কাউন্সিলের সদস্য) অভিযোগের প্রাথমিক অনুসসন্ধান করে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি এটি বিচার-বিবেচনা করে তারপর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফেরত পাঠাবেন। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল তখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে, এরপর তাদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

বিচারক অপসারণ কখন করা যায়

সংবিধান অনুযায়ী, সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের দায়িত্বে থাকার মেয়াদ ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত।

সেই সময় আসার আগে কোনও বিচারপতি পদত্যাগ করতে পারবেন।

কিন্তু কোনও বিচারক অসমর্থ হলে কিংবা তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অপসারণ করা যাবে।

সেই অপসারণ কে করবে, সেটা নিয়েই বাধে গোল। আওয়ামী লীগ সরকার এজন্য সংবিধানে ষোড়শ সংশোধন আনে। তাতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে আসে পরিবর্তন।

তাতে ৯৬ (২) এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোনও বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।

৯৬ অনুচ্ছেদ এখন যেমন হবে

সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ৮টি উপ-অনুচ্ছেদে বিচারকের পদের মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, যা এখন পুনর্বহাল হবে। তবে এক্ষেত্রে তৃতীয় উপ অনুচ্ছেদ থেকে পরিবর্তনগুলো হবে।

তৃতীয় উপ অনুচ্ছেদটি হবে এখন এমন- একটি সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল থাকিবে, যাহা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলিয়া উল্লিখিত হবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুজন কর্মে প্রবীণ তাদের নিয়ে গঠিত হবে।

তবে শর্ত থাকে যে কাউন্সিল যদি কোনও সময়ে কাউন্সিলের সদস্য এইরূপ কোনও বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন অথবা কাউন্সিলের কোনও সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনও কারণে কার্য করিতে অসমর্থ্য হন, তাহলে কাউন্সিলের যারা সদস্য আছেন, তাদের পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসাবে কাজ করিবেন।

চতুর্থ অনুচ্ছেদে কাউন্সিলের দায়িত্বের বর্ণনা হবে- (ক) বিচারকগণের জন্য পালনীয় আচরণবিধি নির্ধারণ করা এবং (খ) কোনও বিচারকের অথবা কোনও বিচারক যেরূপ পদ্ধতিতে অপসারিত হতে পারেন, সেরূপ পদ্ধতি ব্যতীত তার পদ হইতে অপসারণ যোগ্য নয়, এইরূপ অন্য কোনও কর্মকর্তার, সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করা।

পঞ্চম উপ অনুচ্ছেদে হবে- যে ক্ষেত্রে কাউন্সিল অথবা অন্য কোনও সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে রাষ্ট্রপতির এরূপ বোঝার কারণ থাকে যে কোনও বিচারক- (ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে, পালন করতে অযোগ্য হয়ে পড়তে পারেন অথবা (খ) গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হতে পারেন, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করতে ও উহার তদন্তফল জানাতে নির্দেশ দিতে পারেন।

ষষ্ঠ উপ অনুচ্ছেদ হবে এমন- কাউন্সিল তদন্ত করবার পর রাষ্ট্রপতির কাছে যদি এরূপ রিপোর্ট করেন যে ওর মতে ওই বিচারক তার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন অথবা গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হয়েছেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা ওই বিচারককে তার পদ থেকে অপসারিত করবেন।

সপ্তম উপ অনুচ্ছেদ হবে এমন- এই অনুচ্ছেদের অধীনে তদন্তের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল স্বীয় কার্য-পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং পরওয়ানা জারি ও নির্বাহের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতো তার একই ক্ষমতা থাকবে।

একবারই ব্যবস্থা নিয়েছে কাউন্সিল

১৯৭৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কার্যকর থাকলেও এই সময়কালে মাত্র একবারই তার প্রয়োগ হয়েছিল।

৯৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের যে দুই ধরনের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী ও বিচারপতি এ এম মাহমুদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল প্রথমবারের মতো একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করেন। এছাড়া আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী মামলায় ৩৯টি আচরণবিধি নির্ধারণ করে।

এরমধ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে ব্যবস্থা নেয় ২০০৩ সালে। তখন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক সৈয়দ শাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

এরপর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এই বিচারপতির অপসারণের সুপারিশ করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করেন বিচারপতি শাহিদুরকে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি : বাসস
ষোড়শ সংবিধান বাতিলের রিভিউ আবেদন সর্বোচ্চ আদালত নিষ্পত্তি করে দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি : বাসস

ষোড়শ সংশোধনের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু আমলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত হয় রাষ্ট্রপতির হাতে।

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় যাওয়ার পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর সেভাবেই চলছিল।

তিন দশকের বেশি সময় পর আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী এনে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদের হাতে ফেরত নেওয়া হয়। বিলটি পাসের পর ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশিত হয়।

এরপর ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করে।

এরপর ২০১৬ সালের ৫ মে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান-পরিপন্থী বলে রায় দেয়। ওই বছরের ১১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।

রায়ে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সংসদসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়। তাতে ‘বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা। জাতীয় সংসদেও সেই রায় এবং বিচারপতি সিনহার অনেক সমালোচনা করা হয়।

এরপর ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

৯৪টি সুনির্দিষ্ট যুক্তি তুলে ধরে ৯০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে পুরো রায়টি বাতিল চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে এ রায়কে কেন্দ্র করে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে ১৩ অক্টোবর তিনি বিদেশে চলে যান। সেখান থেকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।

পরে বিচারপতি সিনহা অভিযোগ করেন, তাকে দেশছাড়া হতে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ষোড়শ সংশোধনীর মামলাটিও নতুন করে আলোচনায় আসে।

আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট শাসনের দোসর’ বিচারকদের অপসারণের দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। এরপর এ মামলাটি শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

রবিবার আদালতে শুনানিতে এ রিভিউ আবেদনের ৯৪টি যুক্তিকে যুক্তিযুক্ত নয় উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, “আমরা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে সবগুলো গ্রাউন্ড এক্সামিন করেছি, পড়েছি। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে একটি গ্রাউন্ডও মামলা রিভিউ হওয়ার মত টিনেবল (যুক্তিযুক্ত) না, গুড গ্রাউন্ড না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত