বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডার ব্যর্থতা নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতি ম্যাচেই শুরুর ব্যাটারদের ব্যর্থতা চাপে ফেলে মিডলঅর্ডারদের। লোয়ার মিডলঅর্ডারদেরও দায়িত্ব নিতে হয় আলাদা করে। যার ফরে প্রতি হারের পর ২০-৩০ রানের আক্ষেপ থাকে।
ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচেও তা-ই হয়েছে। শুরুর ব্যর্থতায় মাত্র ৮ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে। তবুও তাওহিদ হৃদয় বলেছেন, “একদিন এমন হতেই পারে।”
হৃদয় নিজেও জানেন দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার এই চিত্র শুধু একদিনের নয়। শুরুতে বল দেখে খেলার চেষ্টা বিসর্জন দিয়ে সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তরা প্রায় ম্যাচেই উইকেট বিলিয়ে আসেন। ভারতের বিপক্ষে এ দুজন উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন নিয়ম করে।
শুরুর ব্যাটারদের ভুল নিয়ে হৃদয় বলেছেন, “শুরুর দিকের ব্যাটারদের কারও সঙ্গেই উইকেট (পিচ) নিয়ে কথা বলা হয়নি। কারণ দ্রুত ৫টা উইকেট পড়ে যায়। ঠিক আছে একদিন এমন হতেই পারে। সামনে যেন এই ভুল না করে এগিয়ে যেতে পারি সেটা দেখতে হবে।”
হৃদয় ও জাকের জুটি বেঁধে যখন ব্যাট করছিলেন তখন দুবাইয়ের পিচকে সহজ মনে হয়েছে। হৃদয় জানালেন সময় নিয়ে সেট হওয়ার চেষ্টায় সফল হয়েছেন, “এটা সত্যি যে এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। ৫ উইকেট যাওয়ার পর এতটা সহজ ছিল না। ওই সময় ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। একটা সময় অনেকগুলো বল ডট দিয়েছি। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল যে ডট বল দিলেও আমি পুষিয়ে নিতে পারবো। আমার ইনজুরি না হলে আরও ২০-৩০ রান করে দিতে পারতাম।”
ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া ও ভালো খেলার আশা- – এ দুইয়ে এখনও আটকে আছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের উইকেটে ভারত ব্যাটাররাও সহজে রান তুলতে পারেনি। বোর্ডে ২৬০ থাকলেও এ ম্যাচে জয়ের বাস্তব আশা ছিল বাংলাদেশের জন্য। শুরুর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা পূর্ণতা পায়নি। আর এমনটা শুধু একদিন নয়, বারবারই হয়েছে।