ইনিংসের একদম শেষদিকে পায়ে টান লাগে তাওহিদ হৃদয়ের। যে কারণে তিনটি ওভার স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি। ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে নিজের চোট পাওয়াকেই দুর্ভাগ্য বললেন হৃদয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৬.৪ ওভারে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে শট নিতে গিয়ে পায়ে টান লাগে হৃদয়ের। তখনও ইনিংসের ৪.২ ওভার বাকি। চোট পাওয়া হৃদয় অনেকটা সময় উইকেটে শুয়ে ছিলেন। ফিজিও দেখে গেলেও তা রগে টান লাগার ব্যাথা চলে যায়নি।
ওই সময় ৯১ রানে ব্যাট করছিলেন হৃদয়। নার্ভাস নাইনটিজের একটা চাপ তো ছিলই। সঙ্গে যোগ হয় ইনজুরি। বাংলাদেশ দলের রান আড়াইশোতে না যাওয়ার পেছনে ৪৩তম ওভারে জাকের আলির আউটকে সামনে আনা যায়।
তবে হৃদয় বললেন তার ইনজুরি বেশি ক্ষতির ছিল, “এখন আমি ভালো আছি। জাকেরের আউটের চেয়ে আমার ইনজুরিটা দুর্ভাগ্যের ছিল। ওই সময় আমি ঠিকঠাক থাকতাম তাহলে হয়তো আরও ২০-৩০টা রান বেশি করতাম।”
হৃদয় যোগ করেন দলের সামর্থ্য ছিল ২৬০ বা ২৭০ রান করার, “আমাদের চিন্তাই ছিল টস জিতে আগে ব্যাটিং করবো। কারণ এই পিচে স্পিনারদের খেলা কঠিন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ধীরে বল আসে। আমি বা জাকেরের কেউ যদি ভালো ভাবে ইনিংসটা শেষ করতাম তাহলে রান ২৬০-২৭০ হতে পারতো। তখন ম্যাচ জেতার একটা পরিস্থিতি তৈরি হতো। কারণ ভারতের এই রান করতে কিন্তু ৪৭ ওভার খেলতে হয়েছে। তাই বলবো যে আমরা ২০-৩০ রান কম করেছি।”
সেঞ্চুরির ইনিংসে একবার জীবন পেয়েছিলেন। ২১ রানে ওই ভুল করেও বেঁচে যাওয়ায় হৃদয় সাবধানী হন। দলকে এনে দিয়েছেন লড়াকু পুঁজি। তার ইনজুরিতে পড়া সত্যিই দুর্ভাগ্যের, ওই সময় পায়ে টান না লাগলে ধীর উইকেটে জয়ের মতো স্কোর এনে দিতে পারতেন দলকে।