তারকা হিসেবে হৃতিক রোশানের উত্থান ঘটে ২৫ বছর আগে। সুপারহিট সিনেমা কাহো না পেয়ার হ্যায় ছিল সেই উত্থানের প্রেক্ষাপট। যার নির্মাতা ছিলেন তারই বাবা রাকেশ রোশান।
কিন্তু শুটিং স্পটে বাবা ছেলের নাকি তর্ক-বিতর্ক লেগেই থাকতো!
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত নেটফ্লিক্স ডকুসিরিজ দ্য রোশানস-এ হৃতিকের মা পিঙ্কি রোশান বলেন, “কখনও কখনও তাকে (হৃত্বিক-কে) একটু দুঃখী মনে হতো। আমি যদি জিজ্ঞাসা করতাম ‘কী হলো? তোমাকে দেখে তো ভালো মনে হচ্ছে না।’ তারপর হৃতিক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতো আর আমাকে বলত, সে ভিন্নভাবে কাজটা করতে চায়। কিন্তু ওর বাবা বলতেন, ‘না, এভাবেই ঠিক আছে।’
“মা হিসেবে খারাপই লাগত। আমার স্বামীকে যখন জিজ্ঞাসা করতাম, ‘আজ কোন সমস্যা হয়েছে?’ উনি বলতেন, ‘ও কিছুই জানে না! ডিরেক্টর হলাম আমি! সিনেমা কিভাবে বানাতে হয় আমি জানি।’ তখন আমি বলতাম, ‘কিন্তু ওর কথা অন্তত শুনে তো দেখো।’”
ওই ডকু সিরিজে রাকেশ রোশানও বেশ খোলামেলা আলাপ করেন। হৃতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার আর হৃতিকের প্রায়ই তর্ক হতো। সে বলত, ‘পাপা, আমি এটা এভাবে করি’। আমি বলতাম, ‘না বাবা, এভাবে ভালো লাগবে না। এভাবে করো।’ আমাকে ভারসাম্য রাখতে হতো কারণ সে অভিনেতাও আবার আমার ছেলে। ওর জন্যও এটা হয়তো তেমনই ছিল। ডিরেক্টরও আমি, আবার আমি ওর বাবা। তাই তর্ক হতো, কিন্তু সমাধান সবসময় ইতিবাচকই হতো।”
ডকু সিরিজে জানা গেছে হৃত্বিকের ভাবনা। কাহো না পেয়ার হ্যায় সিনেমার শুটিং সেটের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তার বাবা নাকি ফিল্মের একটা বড় অংশের কালার এডিট না করেই বিদেশে প্রিন্ট পাঠান, তখন হৃতিক রাগে ফেটে পড়েন।আর রাকেশ তখন তাকে মুখের ওপর কড়া কথা শুনিয়ে দেন। এমনকি তিনি তার স্ত্রী পিঙ্কিকে বলেছিলেন যে তিনি তার ছেলের মঙ্গলের জন্য নিজের সবটা করছেন, কিন্তু হৃতিক কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছে না।
এরপর হৃতিক জানতে পারেন যে কাহো না পেয়ার হ্যায় সিনেমার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছিল, কারণ তার বাবা তাদের বাড়ি এবং গাড়ি বন্ধক রেখে এই সিনেমার কাজ করছিলেন। সৌভাগ্যবশত, কাহো না পেয়ার হ্যায় ব্লকবাস্টার হিট হয়। হৃত্বিকের মা পিঙ্কি রোশান জানান, তিনি স্বস্তি পেয়েছিলেন এই ভেবে যে বাড়িটি রক্ষা পেয়েছিল।
কাহো না পেয়ার হ্যায় সিনেমায় হৃতিক রোশান ছাড়াও আমিশা প্যাটেল এবং অনুপম খের অভিনয় করেন।