ভারতের জনগণকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার কেন দেওয়া হবে- সে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে প্রধান করে ট্রাম্প যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) খুলেছেন, সেই দপ্তর শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব রাজনৈতিক-সামাজিক প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছিল, তার একটি তালিকা দিয়ে এসবে আর ডলার খরচ না করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
মাস্কের দপ্তরের এই পদক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার প্রথম মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে পাল্টা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের করের অর্থ কেন ভারতের পেছনে খরচ করা হবে? দেশটিকে কেন আমরা ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান দেব?”
গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে ট্রাম্প ও মাস্ক উভয়ের সঙ্গেই বৈঠক হয়।
সফরকালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক কীভাবে মজবুত করা যায়, এনিয়ে আলোচনা হয় মোদি ও ট্রাম্পের।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, “তিনি (নরেন্দ্র মোদি) আমার ভালো বন্ধু। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সম্পর্ক বেশ চমৎকার।”
পরদিন শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্কের দপ্তর ডিওজিই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের করের অর্থে পরিচালিত কর্মসূচির তালিকা প্রকাশ করে জানায়, এসব কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে।
ওই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও নেপালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত কর্মসূচির উল্লেখ রয়েছে।
ট্রাম্প মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে শ্রদ্ধা করার কথা জানানোর পাশাপাশি দেশটির জন্য ২১ মিলিয়ন বা ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদানের সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কেন আমরা তাদের এত অর্থ দেব? তারা অনেক অর্থবান।
“ভারত বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ কর আরোপকারী দেশ। আমরা আমাদের পণ্য নিয়ে তাদের বাজারে তেমন একটা ঢুকতেই পারি না। কারণ সেখানে শুল্কের হার অনেক বেশি।”
ভারতের জনগণকে ভোট দিতে অনুপ্রাণিত করতে ওই অনুদান উদ্যোগের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন করেন, “ভারতীয় ভোটারদের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার? ভোট দেওয়ার বিষয়ে আমার নিজের দেশের মানুষ কতটা সচেতন?”
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের ভোটারদের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদানের পাশাপাশি বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার উদ্দেশে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং নেপালে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ক্ষমতা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।