ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসের সেরা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমামী নির্বাচন এমন হবে যাতে এটি গণতন্ত্রের জন্য ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
রবিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে যান ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসন। তার সঙ্গে আলাপেই এই পরিকল্পনার কথা জানান ড. ইউনূস।
এসময় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন রাষ্ট্রদূত। যেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রয়োজনীয় সংস্কার উদ্যোগ, অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।”
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন বলেও জানান হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসন।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নরওয়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় নরওয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। তাই, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”
এছাড়া বাংলাদেশকে এশিয়ায় নরওয়েজিয়ান পণ্যের আঞ্চলিক বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়েও আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
উদাহরণ হিসেবে বিদেশে নরওয়েজিয়ান টেলিকম জায়ান্ট টেলিনরের প্রথম উদ্যোগ গ্রামীণফোনের কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
রাষ্ট্রদূত গুলব্র্যান্ডসন জানান, নরওয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জাহাজ নির্মাণ শিল্প এবং সবুজ জ্বালানি রূপান্তর খাতে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় ঢাকায় নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অবি মিশন মারিয়ানে রাবে নেভেলস্রুদও উপস্থিত ছিলেন।