Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘টেকনাফ অরক্ষিত হলে বাংলাদেশও সুরক্ষিত থাকে না’

টেকনাফে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে “রোহিঙ্গা সংকট ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ” শীর্ষক মতবিনিময়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
টেকনাফে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে “রোহিঙ্গা সংকট ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ” শীর্ষক মতবিনিময়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, কৌশলগত নিরাপত্তা ও মানবিক নীতিমালা নির্ধারণে কক্সবাজারের টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কক্সবাজার জেলা শাখা। ভূ-রাজনৈতিকভাবে টেকনাফ অরক্ষিত হয়, বাংলাদেশও অরক্ষিত হয়ে পড়ে বলে মনে করে কমিটি।

শনিবার টেকনাফে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে “রোহিঙ্গা সংকট ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ” শীর্ষক মতবিনিময়ে এসব কথার উঠে আসে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন বলেন, “ভূ-রাজনৈতিকভাবে টেকনাফ যদি অরক্ষিত হয়, বাংলাদেশও অরক্ষিত। টেকনাফ শুধুই একটা সীমান্ত এলাকা নয়, এটি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন। তাই টেকনাফের পলিসি নির্ধারণে যেন স্থানীয় মানুষের অংশীদারত্ব থাকে।

“শ্রমিক, দিনমজুর, লবণচাষী যেন তার নিজের কথাটা নিজে বলতে পারেন, নিজের স্বার্থ নিজে নিশ্চিত করতে পারেন, আমরা এমন রাজনীতি চাই। আমরা বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা বলতে চাই। আমরা পঞ্চাশ অনুর্ধ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণ করব।”

চট্টগ্রাম রাইজিংয়ের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময়ের আয়োজন করেছি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি টেকনাফের সংগঠক সায়েম সিকদারের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন সাবরাং উপকূলীয় রেড ক্রিসেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল্লাহ সাইফ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক কমিটির কক্সবাজার জেলা সংগঠক অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, “দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, কৌশলগত নিরাপত্তা ও মানবিক নীতিমালা নির্ধারণে টেকনাফ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।”

কমিটির জেলা সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ মাদকের বদনাম দূর করতে টেকনাফবাসীকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার আহ্বান জানান।

নাগরিক কমিটির ঈদগাঁও থানা প্রতিনিধি সদস্য তারেকুর রহমান টেকনাফের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

স্কুল শিক্ষক তাসলিমা পারভীন সুমী রোহিঙ্গা সংকটের নানবিধ সমস্যার পাশাপাশি নাফ নদীর তীরবর্তী জনপদে মিয়ানমার জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাহীনতার কথাও তুলে ধরেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোরশেদ আলম পর্যটন খাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিতে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন।

এসময় অপহরণের শিকার স্থানীয় যুবক আতিকুর রহমান ও বেলাল উদ্দিন তাদের ওপর চালানো নির্যাতন ও মুক্তিপণের জন্য অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত