সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ও তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায় ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ২১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করা হয়েছে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব মামলাতেই অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্জনে সহযোগিতা করার অভিযোগে যশোর ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎকে আসামি করা হয়েছে।
এক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ১২ লাখ টাকা অর্জন ও নিজ ভোগদখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া তার নামে ২৫ ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।
আরেক মামলায় রণজিৎ কুমার রায়ের স্ত্রী নিয়তি রানী রায়ের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর তার ২১ ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা রয়েছে। এ মামলাতে রণজিৎকেও আসামি করা হয়েছে।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের ছেলে রাজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলায় তার ৬৯ ব্যাংক হিসাবে ১৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সহযোগিতা করার অভিয়োগে এ মামলাতেও রণজিৎ কুমার রায়কে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
আরেক ছেলে সজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সজিবের ১৮ ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এ মামলাতেও তার বাবা রণজিৎ কুমার রায়কে আসামি করা হয়েছে।