Beta
সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় প্রকল্পগুলো চলবে : সালেহউদ্দিন

সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি : পিআইডি
সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলো চলবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের কাছে ভারতের যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো বড়। এসব প্রকল্প আমরা চালিয়ে যাব। কারণ, সেগুলো ছোট প্রকল্প নয় এবং আমরা আমাদের সুবিধার জন্য আরেকটি বড় প্রকল্প নেব।”

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

সালেহউদ্দিন বলেন, “আমরা তাকে (ভারতীয় হাইকমিশনার) আশ্বস্ত করেছি যে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ একটি খুব ভালো জায়গা। তারা (ভারতীয় পক্ষ) বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে এবং জানিয়েছে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট প্রকল্পের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “ভারতীয় অর্থায়নে বিদ্যমান প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো দেশের চাহিদা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে অর্থ ছাড় সংক্রান্ত সমস্যা ছিল, মরা সেগুলো সমাধান করছি।”

ভারতীয় অর্থায়নে ভবিষ্যতে কিছু প্রকল্প থাকবে বলেও জানান তিনি।

তীব্র ছাত্র গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চলমান ভারতীয় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করতে থাকেন। কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সুসম্পর্কের কথাও বলা হচ্ছিল।

এমন আলোচনা-শঙ্কার মধ্যেই ভারতীয় প্রকল্পগুলোর বিষয়ে দুই পক্ষের বৈঠকের খবর এল।

ভারত কোনও লাইন অব ক্রেডিট প্রকল্প বন্ধ করেনি জানিয়ে দেশটির হাইকমিশনার বলেন, “এই প্রকল্পগুলো চলছে এবং এগুলো মূলত অনেক বড় প্রকল্প এবং বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। তাই, ঠিকাদাররা প্রকল্পগুলো শুরু করতে ফিরে আসবে।”

আলোচনায় ভারত সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ভবিষতে সহযোগিতা জোরদারের অপেক্ষায় রয়েছি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকে তিনটি ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থ ছাড় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

প্রতিবেশি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈঠকে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তা সমাধান করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

বৈঠকে ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষণাগারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পৃক্ততা সম্পর্কেেএক প্রশ্নের জবাবে প্রণয় ভার্মা বলেন, “আমরা সরকারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। উপদেষ্টার সঙ্গে আমার বৈঠক তার প্রমাণ।”

তিনি বলেন, “ভারতীয় পক্ষ তার উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে তার লাইন অব ক্রেডিট প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নিয়ে  যেতে পেরে খুব খুশি কারণ বাংলাদেশ এরই মধ্যে তাদের জন্য এগুলো উপকারী প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত করেছে।”

২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ও ভারত প্রথমবারের মতো ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তি সই করে। এরপর ২০১৬ সালের মার্চে সই করা হয় দুই বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট চুক্তি, ২০১৭ সালের মার্চে সই হয় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের তৃতীয় চুক্তি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত