কোম্পানি ও ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে। এবার ব্যক্তি পর্যায়ে ১৬ দিন আর প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সেখানে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ের আয়কর দাতারা ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবে। আর প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের করদাতারা ১৫ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৬ মার্চ পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবে।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর ও ২৯ ডিসেম্বর পৃথক দুটি আদেশে দুই দফা এক মাস করে সময় বাড়ায় এনবিআর।
দেশে স্থিতিশীলতা না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যেরি কর্মকাণ্ডে সংকট দেখা যাচ্ছে, তাই আয়কর রিটার্নসহ অন্যান্য খাতেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন এনবিআরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এই প্রেক্ষাপটে করদাতাদের আরও সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। তাছাড়া দেশে প্রায় প্রতিবছরই রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়নো হয়। এবারও সেই সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া সম্ভব হলো না।
এনবিআর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার ২৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। এরমধ্যে আবার আয়কর খাত পিছিয়ে রয়েছে ৩১ শতাংশের বেশি।
চলতি অর্থবছর প্রথমবারের মতো ঢাকা, নারয়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের ব্যবসারত অনেক বহুজাতিক কোম্পানির রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ১২ লাখ রিটার্ন জমা পড়ার হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে এটা শেষ পর্যন্ত ১৪ লাখে উন্নীত হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে এক কোটির বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ লাখের বেশি টিআইএনধারী রিটার্ন দেন।
