দেশের বাজারে সোনার দাম খানিকটা কমেছে। চলতি বছরে টানা আট দফায় ভরিতে ১৬ হাজার টাকার বেশি বাড়ানোর পর কমানো হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৫৫ টাকা।
রবিবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমানোর ঘোষণা দেয়।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট মানের এক ভরি সোনা কিনতে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা খরচ করতে হবে। রবিবার পর্যন্ত এই মানের সোনা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্চে।
গত বছর মূল্যবান এই ধাতুর দর ৩৫ বার বেড়েছিল, কমেছিল ২৭ বার। তবে ২০২৫ সাল পড়তেই বাড়তে থাকে দাম, টানা আট দফায় বাড়ে। নবম ঘোষণায় এসে কিছুটা কমল সোনার ভরি।
বাজুসের ঘোষণা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, টানা আট দফায় প্রতিভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম বেড়েছিল ১৬ হাজার ২৩৬ টাকা। সবশেষ এক মাসের ব্যবধানেই বাড়ে ১৫ হাজার ৮২ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এই মানের সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ২৪৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তার দুই দিন আগে গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানোয় দেশে প্রথমবারের মতো মূল্যবান এই ধাতুর ভরি দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকায় ওঠে।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১৩ হাজার ১৪৯ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতিভরি কিনতে লাগবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ টাকা আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ১ লাখ ৩ হাজার ৪০১ টাকায়।
রবিবার পর্যন্ত এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১৩ হাজার ২৪৮ টাকা লেগেছে। প্রতিভরি কিনতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৩ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ২০৬ টাকায়। হিসাব বলছে, দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমেছে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম কমেছে ১ হাজার ১০৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের কমেছে ৯৪৫ টাকা আর সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম কমেছে ৮০৫ টাকা।