কিছুক্ষণ আগেই আউট হয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। তেতে থাকা সিডনির গ্যালারির দর্শকদের দিকে তাকিয়ে এরপর অন্যরকম উদযাপন বিরাট কোহলির। জাসপ্রিত বুমরা চোটের জন্য মাঠে না থাকায় তখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কোহলি। দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে তিনি দর্শকদের দেখান পকেটে কিছু নেই!
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ‘স্যান্ডপেপার’ কেলেংকারিই মনে করিয়ে দর্শকদের চুপ করান কোহলি। সেই কেলেংকারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন স্মিথ। কোহলি বোঝাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ানদের আউট করতে ভারতীয় বোলারদের পকেটে করে ‘স্যান্ডপেপার’ আনতে হয় না!
কোহলি দর্শকদের চুপ করালেও, পুরো ভারতকে চুপ করিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা সিডনি টেস্ট জিতল ৬ উইকেটে। তাতে নিশ্চিত হলো ২০১৪ সালের পর ৩-১ ব্যবধানে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জয়ও। পাশাপাশি এই ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত হরল অস্ট্রেলিয়া। আগের দুই চক্রে ফাইনাল খেলেছিল ভারত। টানা তৃতীয় ফাইনাল খেলা হলো না তাদের।
ভারত দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৬ উইকেটে ১৪১ রানে। আজ (রবিবার) তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগেই তারা অলআউট ১৫৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬২ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৫ রানে ৬ উইকেট স্কট বোল্যান্ডের। প্রথম ইনিংসেও ৪ উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬১ রান ঋষভ পন্তের।
জবাবে চা বিরতির আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারালেও উসমান খাজা, ট্রাভিস হেড আর বিউ ওয়েবস্টারের দৃঢ়তায় সহজ জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিজেদের দখলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
উসমান খাজা ৪১, স্যাম কনস্টাস ২২, মার্নাস লাবুশেন ৬ ও স্টিভেন স্মিথ আউট হন ৪ রানে। ট্রাভিস হেড ৩৮ বলে ৩৪ ও বিউ ওয়েবস্টার ৩৪ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৯ রানে।
ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরার চোট। দলের দরকারে ব্যাট হাতে নামলেও বোলিং করতে পারেননি তিনি। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৩টি ও মোহাম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ১ উইকেট।
সবশেষ ২০১৪ সালে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর টানা চারটি সিরিজ জিতে ভারত। এর দুটি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সিডনিতে জিতে ট্রফিটা ফিরিয়ে আনল অস্ট্রেলিয়া। সে সঙ্গে ভারতকে বিদায় করে নিশ্চিত করল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।