চলতি নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস জুড়ে ৪৮ লাখ বিয়ে হতে যাচ্ছে ভারত জুড়ে বলে জানিয়েছে দ্য কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)।
আর তাই এই বিয়ের মওসুম ধরে ভাল ব্যবসার আশা করছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। আগামী দুইমাসে প্রায় অর্ধলক্ষ বিয়ের এ যজ্ঞের বাজার ৬ লাখ কোটি রুপিতে গিয়ে ঠেকবে বলে ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি আশা করছে।
কেবল দিল্লীতেই সাড়ে ৪ লাখ বিয়ে হবে বলে সংগঠনটি মনে করছে। আর এসব বিয়ে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে দেড় লাখ কোটি রুপি যোগ করবে।
নভেম্বরের ১২ তারিখ ধরে ভারতের বিয়ের মৌসুম শুরু হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরাও ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন একটি ব্যবসা সফল মৌসুম কাটানোর জন্য।
বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সোনার বাজারে ইতিমধ্যেই ব্যস্ততা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনকো গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভাঙ্কর সেন। তিনি জানান, ধনত্রয়োদশী উৎসবকে ঘিরেই ২৯ অক্টোবর থেকে বিয়ের গয়নার কেনাকাটাও শুরু হয়েছে।
ভারতে ১৩ তম কৃষ্ণপক্ষের রাতে ধনত্রয়োদশী পালন করা হয়। ব্যাপকভাবে উৎসবটি ধনত্রেরাস নামেও পরিচিত, যাতে দেবী লক্ষ্মীকে সম্পদ এবং গণেশকে জ্ঞানের জন্য পূজা করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এইদিনে নতুন সোনা ও রূপার অলঙ্কার কেনাকে শুভ মনে করা হয়।
শুভাঙ্কর সেন জানান, বিয়ের এ কেনাকাটার মৌসুম আসলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি জুড়েই থাকবে। সিএনবিসি টিভির এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত আগস্টে সোনার ওপর কর কমানোর কারণেও ক্রেতা সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে ডেস্টিনিশন ওয়েডিং কনসাল্টেন্ট এবং বিহাইন্ড দ্য সিন ওয়েডিং এর কো-ফাউন্ডার বৈভব সাধওয়ানি বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বিয়ের অনুষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে ডেস্টিনিশন ওয়েডিং-এ এবার আগ্রহ বেড়েছে।
তার ভাষায়, “যোগাযোগ সীমাবদ্ধতা কমে আসায় এ বছর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং- এর ঝোঁক বেড়েছে। অনেক জুটি বিয়ের লোকেশন হিসেবে বেছে নিচ্ছে দূর্গম মনোরম স্থান। একইসঙ্গে নিজেদের এবং স্বজনদের ছুটি ও বেড়ানোর মিশ্র সুযোগ এটি।” ভারতীয়দের কাছে এবার স্থানীয়ভাবে রাজস্থান, গোয়া এবং উদয়পুর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এর হটস্পট।
দেশের বাইরে লোকেশন হিসেবে থাইল্যান্ড, বালি ও দুবাইতেও ডেস্টিনিশন ওয়েডিং এর পরিকল্পনা করেছেন কিছু ভারতীয়।