Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ভারত

ভারত-৬৩
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

বৃষ্টিতে খেলা না হলে ফাইনালে যাবে ভারত- গায়ানার সেমিফাইনালের আগে এই ছিল হিসাব। বৃষ্টির সৌজন্যে নয়, খেলেই ফাইনাল নিশ্চিত করল রোহিত শর্মারা। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে শিরোপার মঞ্চে ভারত।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংলিশদের ৬৮ রানে হারিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে ভারত। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ইংল্যান্ড করতে পেরেছে ১০৩ রান।

টানা দুই বছরে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল তারা। যদিও ঘরের মাঠের আসরে শিরোপা হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সেই জ্বালা জুড়ানোর মোক্ষম সুযোগ কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে। ২৯ জুন বার্বাডোসে শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের প্রতিপক্ষ প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা।

কোনোমতে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। তবে এই রাউন্ডে চমৎকার পারফরম্যান্সে সবার আগে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় জস বাটলাররা। শেষ চারের লড়াইয়ে তাদের বরণ করতে হলো নিষ্ঠুর পরিণতি। অথচ শুরুটা কী দারুণ হয়েছিল ইংলিশদের। চাহিদানুযায়ী টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে চেপে ধরে ভারতকে। বিরাট কোহলির (৯) পর ঋষভ পন্তকে (৪) তুলে নেয় দ্রুত।

রোহিত-সূর্যকুমারের ঝলক

যদিও ভড়কে যায়নি ভারত। অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে সূর্যকুমারের চমৎকার ব্যাটিংয়ে বাড়িয়ে নেয় স্কোর। তৃতীয় উইকেটে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই ব্যাটার গড়েন ৭৩ রানের জুটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে রোহিত আউট হন ৫৭ রানে। ৩৯ বলের ইনিংসটি ভারতীয় অধিনায়ক সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ফেরেন সূর্যকুমার। ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৩ ও রবীন্দ্র জাদেজার ৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে খেলা অপরাজিত ১৭ রানে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত।

ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। আর একটি করে উইকেট শিকার রিস টপলি, জোফরা আর্চার, স্যাম কারেন ও আদিল রশিদের।

টার্নিং পয়েন্ট

ইংল্যান্ড চেয়েছিল, ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যটা জেনে নিতে। এ কারণে টস জিতে তাদের ফিল্ডিং নেওয়া। তাছাড়া ম্যাচের আগে বৃষ্টি হওয়ায় উইকেট থেকে সুবিধা তুলে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে এতটা অস্থিরতা কাজ করবে, সেটি হয়তো আমলে নেয়নি। না হলে বাটলার-জনি বেয়ারস্টোরা এভাবে আউট হবেন কেন?

এবারের বিশ্বকাপে ভারতের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র স্পিন বিভাগ। সেমিফাইনালে স্পিনারদের কার্যকারিতা আরও স্পষ্ট হলো। বিশেষ করে, অক্ষর প্যাটেলের বোলিং। বাটলারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যখন রোহিতের চোখেমুখে উৎকণ্ঠা ফুটে উঠছিল, ঠিক তখনই কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দেন অক্ষর। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনারের শিকার বেয়ারস্টো (০)। সেমিফাইনালের টার্নিং পয়েন্টটা এখানেই।

কারণ বাটলার ও বেয়ারস্টোর আউটের পর ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ধার কমে আসে। পরের দিকের ব্যাটাররা অতিমাত্রায় অস্থিত হয়ে পড়লে সেটির পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন ভারতের বোলাররা। ‍পরে অক্ষর তুলে নিয়েছেন মঈন আলির (৮) উইকেটও। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট পাওয়া এই স্পিনারের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

সেরা মুহূর্ত

ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন অক্ষর। অন্যদিকে মিডল অর্ডারের কোমড় ভেঙে দিয়েছেন কুলদীপ যাদব। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের দুর্দান্ত বিশ্বকাপের আরেকটি ঝলক দেখা গেল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

তার স্পিনে খেই হারিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন হ্যারি ব্রুক (২৫), স্যাম কারেন (২) ও ক্রিস জর্ডান (১)। পরে লিয়াম লিভিংস্টোনকে (১১) রানআউট করা এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। জসপ্রিত বুমরা ২.৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

তাদের চমৎকার বোলিংয়ে দিশেহারা ইংল্যান্ডের রান তবু ১০০ পেরিয়েছে আর্চারের ব্যাটে। ১৫ বলে তার খেলা ২১ রানে ইংলিশদের হারের ব্যবধান যা একটু কমেছে!

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত