Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

পাসপোর্টবিহীন শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানোর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারতে তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর এল।

ভারতের সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমস বুধবার জানিয়েছে, নয়া দিল্লি সরকার ভারতে থাকার জন্য বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে।

শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ কতদিনের জন্য বাড়ানো হলো, সে বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে। ভারত সরকারের কোনও আনুষ্ঠানিক ভাষ্যও মেলেনি।

এক দিন আগেই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনের জন্য দায়ী হিসাবে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ভারত সরকারকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরদিনই ভারতের পদক্ষেপের খবরে ইঙ্গিত মিলছে যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তারা বিবেচনা করছে না।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে গত মাসেই ভারত সরকারকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ভারত সরকার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও আর কিছু জানায়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন শেখ হাসিনা।

ভারতে শেখ হাসিনা কী মর্যাদায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কিছুই স্পষ্ট করেনি।

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার কয়েকদিন পরই তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এখন সাধারণ পাসপোর্টও বাতিল হওয়ায় তিনি পাসপোর্টবিহীন।  

পাসপোর্টবিহীন ভিনদেশী কাউকে কোনও দেশের সরকার ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিতে পারে, যা দিয়ে তিনি অন্য দেশ ভ্রমণও করতে পারেন।

৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি জানিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস লিখেছে, এভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতে যথাযথ আইন নেই।

নয়া দিল্লিতে থেকেই বিভিন্ন দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নানা অনুষ্ঠানে টেলি কনফারেন্সে যুক্ত হচ্ছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এনিয়ে ঢাকা-দিল্লি কটৈনৈতিক টানাপড়েনও চলছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাওয়ার আশা না ছেড়ে শফিকুল আলম মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা একটি কূটনৈতিক বিষয়। আমরা সেই কাজ করছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত